দু’দিনের এই সঙ্গীত সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন বিশ্ববিখ্যাত সেতারবাদক এবং তাবলাবাদকেরা।বিষ্ণুপুর ঘরানার প্রসিদ্ধ সেতারবাদিকা বিদুষী মিতা নাগ থেকে শুরু করে সেনিয়া মাইহার ঘরানার সেতারবাদক পন্ডিত পার্থ বসু , পন্ডিত নীলাদ্রি সেন এবং আরো অনেক সঙ্গীত গুনীদের সুরের মূর্ছনায় ভরে উঠবে শহর তিলোত্তমা, শোনা যাবে নতুন প্রজন্মের দু’জন গুণী শিল্পীর সেতারবাদন – শ্রী অভিষেক মল্লিক ও শ্রী অভিরূপ ঘোষ । কিংবদন্তি তবলাবাদক পন্ডিত কুমার বোস এবং বিশ্ববিখ্যাত পন্ডিত বিক্রম ঘোষের তবলাবাদন শোনা যাবে এই দু’দিনের আসরে , এছাড়াও থাকবেন পন্ডিত সমর সাহা, শ্রী রোহেন বোস-সহ অনেকে।
advertisement
‘যাত্রাপথ কালচারাল সোসাইটির এই অভিনব উদ্যোগ ইতিমধ্যেই শহর কোলকাতার বহু সঙ্গীত রসিক এবং সংস্কৃতি মনস্ক মানুষজনের প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে, বহুমানুষ এই সঙ্গীত সম্মেলন সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন’ বলে দাবি করেন তবলাবাদক শ্রী রোহেন বোস । দু’দিনের এই শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সম্মেলনে বিশ্ববন্দিত সেতারবাদক, তবলাবাদকদের পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি জগতের বহু উজ্জ্বল নক্ষত্রেরা ।
সংস্থার তরফ থেকে সেতারবাদক অভিরূপ ঘোষ জানান, ‘প্রতিবছরই কিছু অভিনব ভাবনার মাধ্যমে যাত্রাপথের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে নতুন প্রজন্মের মধ্যে বিশেষ করে স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে শাস্ত্রীয় বাদ্যযন্ত্র শেখবার উৎসাহ দেখা দিচ্ছে তাই আসন্ন সঙ্গীত সম্মেলনের আগে কোলকাতার বেশ কিছু স্কুলে সংগঠনের তরফ থেকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পারম্পরিক সুপ্রাচীন ঐতিহ্য সম্পর্কে আগামী প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে কিছু কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে, দু’দিনের এই সঙ্গীত সম্মেলনে তাই শুধু সেতারবাদন নয়, উঠে আসবে ভারতীয় সেতারবাদনের সঙ্গে জড়িত ইতিহাসের নানান বর্ণনা।’
যাত্রাপথের তরফ থেকে এবছর রৌপ্য জীবনকৃতি সম্মান প্রদান করা হবে কিংবদন্তি তবলাবাদক পন্ডিত কুমার বোস , বিশিষ্ট সন্তুরবাদক পন্ডিত তরুণ ভট্টাচার্য এবং বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ঊষা উত্থুপ’কে। যাত্রাপথের এই দু’দিনের সঙ্গীত সম্মেলন উৎসর্গ করা হয়েছে সঙ্গীত গুরু সেতারবাদক আচার্য পন্ডিত শ্যামল চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর সঙ্গে ভারতবর্ষের সকল বিশিষ্ট সেতারবাদকদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ।
সেতারবাদিকা বিদুষী মিতা নাগ জানান, ‘কলকাতার সঙ্গে শাস্ত্রীয় সংগীতের ইতিহাস বহুদিনের, বহু কিংবদন্তি সঙ্গীত গুনি তথা প্রবাদপ্রতীম সেতারবাদক এই শহরে অনুষ্ঠান করেছেন, যাত্রাপথের এই উদ্যোগ তাই শীতের সন্ধ্যায় কোলকাতার সেই পুরোনোদিনের গান বাজনার ঐতিহ্যকে নতুন ভাবে, নতুন রূপে ফিরিয়ে আনবে।’ সহযোগীতায় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রক, ভারত সরকার, ভারতীয় বিদ্যা ভবন-সহ আরও অনেকে।
