তথাগতর পোস্ট, 'অ্যাডভান্স বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে সবকটা সিনেমার। এখনও পর্যন্ত কলকাতায় 'ভটভটি' পেয়েছে মাত্র ৯টা হল। এবং ১টা করে শো। 'ভটভটি' শো এর অভাবে ধুঁকছে। আপনারা যাঁরা ভটভটি দেখার অপেক্ষা করছিলেন, জানি না তাঁরা কী ভাবে 'ভটভটি' দেখবেন, কারণ অজানা কারণে হল মালিকরা 'ভটভটি'র শো দিচ্ছেন না। অথবা শেষ মূহূর্তে ১টা করে শো দিচ্ছেন। প্রমাণিত, বাংলা সিনেমা গুণগত মানের বিচারে, দর্শকদের চাহিদার উপর নির্ভর করে কলকাতার হলে শো পায় না। কাল আরও বেশি করে বোঝা যাবে কীসের উপর কলকাতার হলে শো পাওয়া নির্ধারণ হয়!''
advertisement
আরও পড়ুন: যশকে বয়কট করতে বলে মানুষকে উস্কানি! নেতাদের সঙ্গে তোমার ফারাক কই? সুজয়কে তথাগত
একটি সংস্থার ৪টি জায়গায় একটি করে শো, দ্বিতীয় সংস্থার ৩টি জায়গার হলে একটি করে শো পেয়েছে ঋষভ, বিবৃতি, দেবলীনা দত্ত অভিনীত 'ভটভটি'। পুরো বাংলায় মোট ১৩টি শো জুটেছে এই ছবির কপালে।
আরও পড়ুন: 'ভটভটি' ডুবলে কাকে জল থেকে উদ্ধার করবেন তথাগত? দেবলীনা, বিবৃতি নাকি ঋষভ?
পরিচালক জানালেন, তাঁর ছবিকে হল না দেওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, দু'টি হিন্দি ছবি মুক্তি পাচ্ছে। তাই শো দেওয়া যাচ্ছে না। তথাগতর অভিযোগ, ''এটা কিন্তু কেবল 'ভটভটি'র ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে। অন্য দু'টি বাংলা ছবি ভরপুর শো পাচ্ছে দেখতে পাচ্ছি। কালকের দিনটা পর্যন্ত অপেক্ষা করছি এখন। কারণ কিছু মাল্টিপ্লেক্স এখনও শো ছাড়েনি আগেরগুলোর। তাই কাল পুরোপুরি বুঝতে পারব পরিস্থিতিটা। এত দিন ধরে অন্যদের মুখে শুনতে পাচ্ছিলাম যে এ রকম করা হয়। এ বার দেখতে পাচ্ছি। কে কলকাঠিটা নাড়ছে। নামও জানি। কিন্তু আজ বলতে পারব না। কাল ঠিক নাম নিয়ে যা বলার বলব।''
'ক্ষমতার জোরে যারা বাংলা সিনেমাকে বারবার হারিয়ে দেয়', তাঁদের প্রতি ক্ষুব্ধ তথাগত। কিন্তু সরাসরি কোনও নাম নিতে অস্বীকার করলেন পরিচালক-অভিনেতা।
বিবৃতির অভিযোগ, ''যে সংস্থা আমাদের ছবির মাল্টিপ্লেক্স পার্টনার, সেই সংস্থাই শো দিচ্ছে না কলকাতা শহরে। তা ছাড়া গত ১৫ দিন ধরেই আমরা নানা ভাবে বুঝতে পারছি। আমার একটাই প্রশ্ন, আমাদের ছবি কি ওই সব মানুষকে ভয় পাওয়াচ্ছে, নাকি আমরা ছবি বানাতে অক্ষম? এ সবের পরে যদি বলা হয়, 'বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়ান' এই দিনগুলিকে মনে রাখা উচিত, যে দিন মৌলিক বাংলা ছবিকে হল দেওয়া হয় না। পাশে থেকে কী হবে যদি ছবি দেখতে দেওয়াই না হয়?''
প্রশ্ন জাগে, তবে কি সত্যিই ইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহলে দ্বন্দ্ব রয়েছে?