'ভালোবাসি জ্যোৎস্নায় কাশবনে ছুটতে', 'তাকে যত তাড়াই দূরে'-এর সুরে আজও নস্ট্যালজিয়ায় পাড়ি দেন বাঙালিরা। সেই গানের অন্যতম স্রষ্টা তাপস বাপি দাসের বয়স প্রায় ৭০-এর কাছাকাছি। ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য কেমোথেরাপি চলছে তাপসের। ঠিক ভাবে খেতেও পারছেন না তিনি। রেডিয়েশন নেওয়ার শারীরিক ক্ষমতা নেই তাপসের। ওজন এখন ৩৫ কিলো।
আরও পড়ুন: ২ নায়িকার সঙ্গে পর্দায় নামছেন সব্যসাচী, 'রামপ্রসাদ'-এর স্ত্রী ও শিষ্যা হবেন কারা
advertisement
আরও পড়ুন: 'আমি মরে যাচ্ছিলাম'! দীর্ঘদিন ডিপ্রেশনে ভুগেছেন হৃতিক রোশন, ফিরে আসার মন্ত্র জানালেন নিজেই
হাসপাতালের বিল, ওষুধ, কেমো, প্রভৃতির খরচ তুলতে অনলাইনে তহবিলের বন্দোবস্ত করলেন কলকাতার কয়েক জন সঙ্গীতশিল্পী। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপেপ মাধ্যমে শেয়ার করা হচ্ছে সেই বার্তা। দেওয়া থাকছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য। তাঁদের অনুরোধ, 'জীবিত কিংবদন্তি তাপস বাপি দাস আজ অসুস্থ। আপনারা সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।'
অর্ক তহবিলের তথ্য শেয়ার করে ফেসবুকে লিখলেন, 'যাদের গান "সুদিন কাছে এসো ভালোবাসি একসাথে সবকিছুই" তাদেরই বাপিদা আজ অসুস্থ। মহীনের ঘোড়াগুলির এই তাপস দাস, বাপিদা, কে তার পরিচয় আমি করিয়ে দেব এত বড় কেউ আমি নই। লাং ক্যান্সার থার্ড স্টেজ, খেতে পারছেন না স্বাভাবিক পদ্ধতিতে। বেশ কিছু কেমো নিয়েছেন। এখন রেডিয়েশন নেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। খেতে পারছেন না স্বাভাবিক ভাবে। ওজন কমে পয়ত্রিশ কিলোয় নেমে এসেছে। এখুনি কথা হয়েছে ওনার স্ত্রী সুতপাদির সাথে। ওনার থেকেই শুনেছি। এই অবস্থাতেও বাপিদা কোনোমতে ফোন হাতে নিয়ে আমার সাথে কথাও বলেছেন। ধন্যবাদ জানাই নীলাঞ্জন ও কৌস্তভকে আমায় জানানোর জন্য। আমরা বন্ধুরা একটি অনলাইন ফান্ডরেইজার অর্গানাইস করব দ্রুতই এক সপ্তাহের মধ্যে। বাজে ভনিতা করে আর পলিটিকাল/অ্যাপলিটিকাল কুৎসিত ট্রোলবাজি না করে যদি পারেন আমার আপনার সামান্য ছোট ছোট কান্ট্রিবিউশন পাঠাতে শুরু করুন। খরচ অনেক। ঐ যে গানটা আপনাকে রাতে দিনে ভাবিয়েছে, তারও মূল্য অনেক। সে কথা ভেবে এগিয়ে আসুন। অন্য কে কী করেছে, না করেছে তার জন্য না ভেবে। যদি সত্যিই কোনও দিন ভেবে থাকেন "কোথায় রয়েছে ভাবি লুকিয়ে বিষাদ তবুও", তবে মনে রাখবেন একটু একটু করে হলেও এই মানুষটিকে বাঁচানোর দায় আমাদেরও আছে।'