তনুশ্রীর মতে, ‘‘প্রত্যেক মানুষের জীবন ঘটনাবহুল। নানা সম্পর্কের টানাপড়ন। প্রেম, অপ্রেম ও স্যাক্রিফাইস। এসব কিছু নিয়েই দৈনন্দিন সম্পর্কের আবর্তে আমরা ঘুরপাক খাই। কিন্তু সব সম্পর্কের নাম হয় না। সব সম্পর্কের চাওয়া পাওয়া এক হয় না। আর সব বলিদান বা স্যাক্রিফাইস চোখে দেখা যায় না। যেমন মা ও সন্তানের সম্পর্ক। মা সন্তানের জন্য সারা জীবন আত্মত্যাগ করে চলে, কিন্তু সেটা কখনও চোখে পড়ে না বা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েও দিতে হয় না। এই সম্পর্ক ও ভালোবাসা চিরন্তন। এরকমই এক সম্পর্ক বা ভালবাসার গল্প উঠে আসবে ‘চিরসখা হে’-তে। চিত্রনাট্য ভাল লেগেছিল বলেই আমি তিলোত্তমার চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হই। পাহাড়ের কোলে তিলে তিলে এই তিলোত্তমাকে আমি গড়ে তুলেছি। একেবারে এক ভিন্ন চরিত্র। দর্শকরা হয়তো এই তনুশ্রীকে আগে সেভাবে দেখেননি।’’
advertisement
আরও পড়ুন: ‘নির্বাক’ শ্যুটের পর অসুস্থ, বেঁচে থাকতে স্টেরয়েড নিতে হয় সুস্মিতাকে! তাই কি হার্ট অ্যাটাক
‘চিরসখা হে’ প্রসঙ্গে অভিনেতা ঈশান বলেন, ‘এই ছবিতে আমার চরিত্রের নামও ঈশান। নাম ছাড়াও বাস্তবের ঈশানের সঙ্গে কিছুটা মিল রয়েছে এই চরিত্রের। আমি যেমন খুব ক্রিয়েটিভ ও শিল্প অনুরাগী মানুষ, এই ছবির ঈশানও ঠিক তাই। সে একজন পেইন্টার। ছবি আঁকে। পাহাড়ের কোলে মিরিকে ঈশানের সঙ্গে তিলোত্তমার দেখা হয়। তাদের সম্পর্ক এমন এক মোড় নেয়। যা হয়তো সবাইকে নতুন ভাবে ভাবতে শেখাবে রোজকার চিরাচরিত সম্পর্ক ও ভালোবাসার সংজ্ঞার বাইরে গিয়ে।’’
আরও পড়ুন: কলকাতায় বিটিএস! দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় ব্যান্ডের গানে মাতোয়ারা অনুরাগীরা
পরিচালক অর্ঘ্যদীপ চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘‘মনের খুব কাছাকাছি একটি বিষয় নিয়ে ছবিটি তৈরি করেছি। সম্পর্কের গল্প তো বটেই। তবে একটা বার্তা রয়েছে যে, সব সম্পর্কের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল বন্ধুত্ব। বাকিটা দর্শকরা পর্দায় দেখবেন।’’
গল্পে ঈশান একটি বনেদি বাঙালি পরিবারের ছেলে। ছোট বেলায় নিজের বাবাকে হারিয়েছে সে। বছর দু’য়েক হল জেঠু ও মার সঙ্গে সে কলকাতার বাড়ি ছেড়ে পাড়ি দিয়েছে উত্তরবঙ্গে। তাদের আদিবাড়িতে। জেঠু উকিল। ঈশান পেশায় ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার। ছবিটাও বেশ ভালই আঁকে সে। অন্য দিকে তিলোত্তমার স্বামী মারা গিয়েছে বছর সাতেক আগে। শুধু তাই নয়, তিলোত্তমার ব্যক্তিগত জীবনে রয়েছে এক মর্মান্তিক সত্য। প্রায় সময়ের কাছে হার মেনে নেওয়া তিলোত্তমার কুয়াশাচ্ছন্ন জীবনে আচমকাই একদিন মিঠে রোদের মতো উপস্থিত হয় ঈশান। এক তরফা ভালবাসা, মান, অভিমান, এই সবকিছুর শেষে, তারা কি পারবে সমস্ত বাধা অতিক্রম করে একসঙ্গে থাকতে?
