ভারতীয় এই ক্রিকেটারের বায়োপিক ‘এম এস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ মুক্তি পেয়েছিল ২০১৬ সালে। ছোট শহর থেকে উঠে আসা একজন ছেলে কীভাবে সারা বিশ্বে নিজের নাম করেছেন, সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে ছবির গল্পে। আর ধোনির চরিত্রটিকে পর্দায় যেন জীবন্ত করে তুলেছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। এমনকী সমালোচকদেরও প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। ধোনির প্রত্যেকটা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ থেকে শুরু করে তাঁর সিগনেচার হেলিকপ্টার শট প্রত্যেকটাই যেন পর্দায় জীবন্ত হয়েছে। বলাই বাহুল্য যে, সুশান্তের অভিনয় যেন হইচই ফেলে দিয়েছিল নানা মহলে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘মহিলাদের’ হার্ট অ্যাটাকের ঠিক আগে এই ‘সাইলেন্ট’ লক্ষণগুলিই দেখা যায়… সতর্ক হন আজই!
২০১৬ সালে এক গোলটেবিল বৈঠক হয়েছিল। সেখানে অংশ নিয়েছিলেন একঝাঁক তারকা। ছিলেন অমিতাভ বচ্চন, শাহিদ কাপুর, দিলজিৎ দোসাঞ্জ, রণবীর কাপুর এবং স্বয়ং সুশান্ত সিং রাজপুতও। সেই সময় সুশান্তের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন খোদ বলিউড সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চনও। ‘এম এস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ ছবির ক্লাইম্যাক্সের দৃশ্যে সুশান্তের অনবদ্য অভিনয়ের প্রসঙ্গ টেনে এনে প্রচুর প্রশংসা করেছেন অমিতাভ। ওই দৃশ্যকে অতুল্য এবং অবিশ্বাস্য বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে এ-ও জানিয়েছিলেন, বাস্তব আর পর্দা যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল। কারণ রিল আর রিয়েলে ফারাকই করতে পারেননি তিনি। আর বলিউড সুপারস্টারের কাছ থেকে এহেন উচ্ছ্বসিত প্রশংসা পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন সুশান্তও।
সুশান্তকে অমিতাভ প্রশ্ন করেন যে, “শেষ ছয়টা হাঁকানোর পর এসএস ধোনির যে অভিব্যক্তিটা ছিল, সেটা অবিকল কীভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আপনি?” এর জবাবে সুশান্ত বলেন, “স্যার আমি ওটা প্রায় ১০০ বার দেখেছি।” এরপর অমিতাভ বলে চলেন, “ওটা অতুলনীয় ছিল। আমি তো ট্রেলার দেখেছি দিন কয়েকের মধ্যেই ছবিটা দেখব। কিন্তু শেষ অভিব্যক্তিটা ছিল… ওটা জাস্ট অবিশ্বাস্য! যখন ওই ছয় হাঁকানোর পর ভারত জিতে গেল, তখনকার একটা ক্লোজ-আপ রয়েছে টিভি-তে। কেউ ওটার ফারাক করতে পারবেন না। এটা জানার খুব ইচ্ছা ছিল আমার।”