ওই কলেজের প্রিন্সিপাল ইন্দ্রনীল কর বললেন, ''নেতাজি ইন্ডোরে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। সরকারি অনুষ্ঠানের বুকিং হয়ে গেলে অন্য কোনও অনুষ্ঠান করা যায় না। তাই জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আমরা চিঠি পাই, ৭ তারিখ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত উচ্চশিক্ষা দফতরের অনুষ্ঠান আছে বলে ফেস্টের জন্য দেওয়া যাবে না। সত্যিই অসুবিধা হচ্ছে কিন্তু কিছু করার তো নেই। উপরন্তু এখনই আমরা অন্য কোনও মঞ্চ বুক করতে পারব না। তাই পিছিয়ে দিতে বাধ্য হই।'' নজরুল মঞ্চের অব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং কেকে-র মৃত্যুর কারণ কি লুকিয়ে এই সিদ্ধান্তের পিছনে? ইন্দ্রনীল কর বললেন, ''চিঠিতে সে রকম কোনও কারণ লেখা ছিল না। অনুষ্ঠান ছিল বলেইব বাতিল করতে বলা হয়েছে কেবলমাত্র।''
advertisement
আরও পড়ুন: কেকে-র অনুষ্ঠানের পর নজরুল মঞ্চে ফের ফেস্ট! গাইছেন অনুপম, রইল ব্যবস্থাপনার ছবি
আরও পড়ুন: অনুমতি নিয়ে সমযোদ্ধাদের নাম নেওয়া উচিত ছিল! বাংলার শিল্পীদের প্রসঙ্গে রূপঙ্কর
নজরুল মঞ্চে গত মঙ্গলবার গুরুদাস মহাবিদ্যালয় কলেজের ফেস্ট ছিল। সেখানেই কেকে অনুষ্ঠান করতে এসেছিলেন। গান গাওয়ার পরে তিনি হোটেলে পৌঁছেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন কেকে। কিন্তু নজরুল মঞ্চের প্রশাসনিক ব্যবস্থার দিকে আঙুল তুলেছেন অনেকে। প্রশ্ন উঠছে, এত ভিড় কেন হয়েছিল অনুষ্ঠানে? নির্দিষ্ট আসনসংখ্যার অনেক বেশি মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন গাব শুনতে। তা ছাড়া এসি ঠিকঠাক কাজ করছিল না নাকি সে দিন। সব মিলিয়ে শহরে অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত বন্দোবস্ত নেই বলে অভিযোগ মানুষের।