দুর্দান্ত, দুর্ধর্ষ অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও বোধহয় সেভাবে তাঁকে উদযাপন করা হয়নি, এমনটাই মনে করছেন অনেকে। কিন্তু তাঁর অভিনয়-যাত্রায় চোখ রাখলে এমনটা মনে হতেই পারে, নতুন এই যুগ বোধহয় তাঁকে উপেক্ষা করল। তবে তাঁর শেষ কাজ ‘পালান’-এ। পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশনাতেই শ্রীলা মজুমদারের শেষ কাজ। নিউজ18 বাংলার সঙ্গে পরিচালকের কথোপকথনে উঠে এল কিছু অজানা কথা।
advertisement
কৌশিকের কথায়, ‘‘শ্রীলাদি যে অসুস্থ ছিলেন, সে কথা আমরা কেউই জানতাম না। এতদিন যে কাজ করলাম, শেষে ‘পালান’-এ ওঁকে নির্দেশনা দিলাম, জানতেই পারিনি যে গত ৩ বছর ধরে তিনি অসুস্থ। আমি না হয় নতুন, কিন্তু মমতাদি (মমতা শঙ্কর), অঞ্জনদা (অঞ্জন দত্ত) তো অনেক দিন ধরে ওঁর সঙ্গে কাজ করেছেন। তাও কাউকেই শরীর-স্বাস্থ্যের কথা বলতেন না। এবং ভাবতেও পারিনি যে উনি চলে যাবেন। তবে হ্যাঁ, পরিচালনা করতে গিয়ে খানিক বুঝতে পারতাম যে শরীরে কোথাও অস্বস্তি হচ্ছে তাঁর। তাও মুখ ফুটে বলতেন না। যেভাবে হোক অপূর্ব অভিনয় করে কাজ শেষ করতেন। ডাবিংও করলেন।
‘পালান’ ছবির আগেই কৌশিকের সঙ্গে শ্রীলার যোগসূত্র তৈরি হয়েছিল। ‘শঙ্কর মুদি’তে কৌশিকের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শ্রীলা। আর তবে থেকেই কৌশিক দেখেছেন, কীভাবে চরিত্রের সঙ্গে মিশে যেতেন। আর তাঁর অভিনয় জীবন নিয়ে কৌশিক একটি অদ্ভুত যোগ আবিষ্কার করেছেন।
তিনি বললেন, ‘‘মৃণাল সেনের ছবি দিয়েই শ্রীলাদির যাত্রা শুরু। আর মৃণাল সেনকে উৎসর্গ করা একটি ছবি দিয়েই তাঁর যাত্রা শেষ। সব শেষে তাই বলতে চাই, শ্রীলাদি এখন তাঁর পছন্দের পরিচালকের সঙ্গেই রয়েছেন হয়তো।’’