কেমন চলছে দেবতনুর ফিল্মি জীবন!
সিনেমার জন্যই আমার সব কিছু। আমি সিনেমায় খাই, সিনেমায় ঘুমাই। জীবনটা ফিল্মি না হলেও, স্বপ্নটা সত্যিই সিনেমার মতো।
সামনেই ১১ মার্চ মুক্তি পাচ্ছে 'অপরাজিতা'! নায়ক দেবতনুর অভিজ্ঞতা কেমন?
রোহন সেনের সিনেমা 'অপরাজিতা"। এই ছবিতে আমি তুহিনা দাসের প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয় করছি। রোহন এর আগে 'এভাবেই গল্প হোক' ছবিটি করেছেন। ওঁর ঝুলিতে পুরস্কারও রয়েছে। রোহনের পরিচালনা একেবারে অন্য রকম। প্রতিটা চরিত্রের বাঁধন খুব শক্ত হয় ওঁর। সে এক দারুণ অভিজ্ঞতা।
advertisement
'অপরাজিতা'তে তুহিনার সঙ্গে আপনার প্রথম কাজ!
তুহিনার সঙ্গে এটা প্রথম কাজ। তবে শ্যুটিংয়ে দারুণ মজা করেই কাজ করেছি। আমাদের কাজের সমীকরণ বেশ ভাল ছিল।
শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়ও রয়েছেন এই ছবিতে!
হ্যাঁ। এই ছবির গল্পটা হল বাবা মেয়ের সম্পর্কের টানা পোড়েন। নিজেদের সম্পর্কের ভুল বোঝাবোঝি থেকে কথা বন্ধ তাঁদের। কিন্তু কীভাবে কোন পথে এই সম্পর্ক এগোবে তা নিয়েই গল্প। এরকম কাজ বাংলায় আগে হয়নি। শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় অসাধারণ অভিনেতা, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমি অনেক কিছু শিখেছি ওঁর কাছে। আমি বলব এই সিনেমা যেন সকলে সিনেমাহলে গিয়ে দেখে। সকলের দেখার মতো সিনেমা 'অপরাজিতা'।
চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্তটা কি সঠিক ছিল?
আমি যেদিন চাকরির রেজিগনেশন দিই, ২০১৯ সালে। ঠিক সেই দিন আমার কাছে জি ফাইভ থেকে কাজের সুযোগ আসে। তার পর থেকে আমি আর ভাবিনি। মনের কথা শুনেছি।
বাড়ি থেকে আপত্তি করেনি?
প্রথম দিকে তো সকলেই একটু ভয় পেয়েছিল। কিন্তু সে সময় কাজ পাশাপাশি থিয়েটার চলছিল। তবে আজকাল আর বাড়ির কেউ ভয় পায় না। আমি বিশ্বাস তৈরি করতে পারছি ধীরে ধীরে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
আমি বাংলায় কাজ করতে চাই। বাংলা ভাষার ছবি করতে চাই। কর্মাশিয়াল ছবিই সব সময় আমার কাছে আগে এসেছে। আমি কর্মাশিয়াল ও প্যারালাল এই ভাগটাই সিনেমা থেকে তুলে দিতে চাই। সেই অর্থে দেখতে গেলে আমার প্রথম ডেবিউ ছবি ছিল, 'রেড অর্কিড'। যেটা হিন্দি ছবি। কলকাতায় বসে কাজ হয়েছিল। কিন্তু বলিউড নিয়ে আমার মাতামাতি নেই। আমি সব কাজ বাংলায় করতে চাই। টলিউডে করতে চাই। বাংলা কন্টেন্টকে জাতীয় এবং বিশ্ব স্তরে পৌঁছে দেওয়া আমার স্বপ্ন।
কয়েক দিন আগেই তো 'ডিলাক্স মামনি' সামনে এল! কী বলছে ভক্তরা?
'ডিলাক্স মামনি' বাংলার প্রথম ভিএফএক্স সং। পুরো গানটাই ভিএফএক্সে তৈরি করা হয়েছে। হিল্লোল আচার্য গানটা গেয়েছেন। সঙ্গে কাজল চট্টপাধ্যায় ছিলেন। ওঁরা দু'জনেই গানটা গেয়েছেন। তবে আমি আগে ভাবতাম যে আমি রাস্তায় হাত ধরে হাঁটলে মানুষ দেখবে। কিন্তু এখন দেখছি আমি নাচলেও তাঁরা পছন্দ করছেন। প্রশংসা পাচ্ছি অনেকের থেকেই। দর্শক পছন্দ করছেন এটাই সব থেকে বড় পাওয়া। আমি চাই যদি আমাকে দশ জন দর্শকও দেখেন, তাঁদের যেন আমি ডিপ্রাইভ না করি। পরের কাজেও যেন মানুষের ভরসা থাকে।
এর পর কী কাজ আছে?
সামনেই মুক্তি পাবে 'কাটাকুটি'। তারপরেই 'ডক্টর বক্সি'র শ্যুটিংয়ে কালিম্পং চলে যাব। এর পরে একটা বড় হাউসের সঙ্গেও কথা চলছে। সেটা ফাইনাল হলেই জানাব। এছাড়াও বেশ কিছু কথা হয়ে আছে। দেখা যাক, ওপর-ওয়ালা আমার জন্য কী লেখেন! যেদিন চাকরি ছেড়ে জি-ফাইভের কাজটা পেয়েছিলাম, সেদিন থেকেই কেউ একজন ওপর থেকে আমার ভাগ্য লেখা শুরু করেছেন। দেখা যাক বাকিটা...
কখনও সিরিয়ালে আসার ইচ্ছে আছে?
না, আসলে সিরিয়াল নিয়ে আমি কিছুই কখনও ভাবিনি। সিনেমাই আমার জীবন। আমি এই মাধ্যমেই মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে চাই। এমন সিনেমা করতে চাই যেটা বাচ্চা এবং বড় সকলের জন্য হয়।
সিনেমা ছাড়া অন্য কি কিছু ভাবা হয়?
হ্যাঁ, আমি গল্প লিখি আগে থেকেই। সে নিয়ে কাজও হয়েছে। আমি যা ভাবি, যা করি সবটাই সিনেমা নিয়ে। তার বাইরে নিজেকে আর কোথাও দেখতে পাই না।
