আগামী ২১ জানুয়ারি আইসিসিআর এ দুপুর ৩টায় প্রকাশিত হবে এই বিশেষ ক্যালেন্ডার সন্দীপ রায় এর উপস্থিতিতে। এ বছর সন্দশ পত্রিকার ১১০ বছর। সন্দেশ পত্রিকার বিবর্তন, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনায় থাকবেন পত্রিকার বর্তমান সম্পাদক সন্দীপ রায়,বিশিষ্ট আর্কাইভিস্ট দেবজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশিষ্ট সত্যজিৎ গবেষক দেবাশিস মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
আরও পড়ুন - প্রকৃতির বড় তাণ্ডব,৫০ কিমি গতিতে হাওয়া, শিলাবৃষ্টি,কলকাতা কেমন থাকবে,রইল আপডেট
advertisement
উল্লেখ্য ১৯১৩ সালে উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর হাত ধরে এই পত্রিকার যাত্রা শুরু। ইউ. রায় এন্ড সন্স ছিল এর প্রকাশক। এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন উপেন্দ্রকিশোর ও তাঁর দুই পুত্র সুকুমার এবং সুবিনয়। দু-বার এই পত্রিকা ছাপা বন্ধ হয়েগিয়েছিল প্রথমবার ১৯২৯, পরে ১৯৩৪। সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে পত্রিকার নতুন রূপে পথ চলা শুরু ১৯৬১ তে, সঙ্গে সহ সম্পাদক ছিলেন বিশিষ্ট কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়। সত্যজিতের ছোটো গল্পের হাত ধরে ফেলুদা, প্রফেসর শঙ্কু এর মতো চরিত্রের আত্মপ্রকাশ সন্দেশের পাতায়।" বঙ্কুবাবুর বন্ধু" এর মতো গল্পও প্রকাশ পায় সন্দেশে।নব্বই এর দশকে পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন সন্দীপ রায়, সঙ্গে অমিতানন্দ দাস।
প্রচ্ছদ অলংকরণ করেছেন অনেকেই তবে রায় পরিবারের চার প্রজন্ম এতে নিয়োজিত থেকেছেন বিশেষভাবে। উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার, সত্যজিৎ এবং সন্দীপ। এই ক্যালেন্ডারে এই চারজনেরই কাজকে তুলে ধরা হয়েছে। ছ-পাতার এই দেওয়াল ক্যালেন্ডার নিয়ে সন্দীপ রায় বললেন," খুবই ভাল উদ্যোগ সন্দেশের ১১০ বছরকে স্মরণ করা ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে। ছোটোদের পত্রিকা বলতে সন্দেশের কথা অনস্বীকার্য। দিকপাল সব লেখকদের কাজে বছরের পর বছর সমৃদ্ধ হয়েছে এই পত্রিকা। একশো বছর পেরিয়েও এখনও প্রকাশিত হচ্ছে। এই ক্যালেন্ডারে বেশ কিছু প্রচ্ছদ ব্যবহার করা হয়েছে যা এই পত্রিকার গৌরবের দিনগুলোকে স্মরণ করায়।"
উদ্যোক্তা সুদীপ্ত চন্দ বলেন, " এই পত্রিকা আমিও পড়েছি, আমার লেখাও প্রকাশিত হয়েছিল। আমার খুব ভালো লাগছে আমাদের সংস্থার দশ বছরে এই বিশেষ ক্যালেন্ডারটা প্রকাশ করতে পারছি তাই।"
Manash Basak