শুধু এই ধরনের সিরিজেই নয়, কিছু মেনস্ট্রিম ছবিতেও অভিনয়ের জোরে ভক্তদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন সোনাক্ষী। যেমন – ‘লুটেরা’ ছবিতে তাঁর অভিনয় প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছিল। তবে ছবিটি অবশ্য বক্স অফিসে তেমন দাগ কাটতে পারেনি। এছাড়া ‘আকিরা’, ‘নূর’, ‘হ্যাপি ফির ভাগ জায়েগি’ এবং ‘খানদানি শফাখানা’-র মতো একক-নায়িকাকেন্দ্রিক ছবিতেও অভিনয় করেছেন সোনাক্ষী। কিন্তু সেগুলি বক্স অফিসে সাফল্যের মুখ দেখেনি।
advertisement
News18 Showsha-র সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে সেই সময়টার স্মৃতি তুলে ধরেন, যে সময় তিনি সেভাবে সাফল্যের মুখ দেখেননি। কেরিয়ারজীবনে লড়াইয়ের সেই পর্বের কথা তুলে ধরে সোনাক্ষী জানালেন, “যে ধরনের ছবি বা যে ধারার চরিত্র আমি করতাম, তা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারার চরিত্র কিংবা ছবি বেছে নেওয়ার সময় আমি নিজের সর্বস্বটা দেওয়া সত্ত্বেও কিছু কিছু ছবি ভাল চলেনি। সেই সময় মনে হত, যেন কোনও কিছুই হচ্ছে না! তবে আমি একজন অভিনেত্রী হিসেবে সেই চরিত্রে অভিনয় খুবই উপভোগ করেছি। শুধু তা-ই নয়, বাণিজ্যিক ভাবে ছবিগুলি না চললেও যাঁদের সঙ্গে সেখানে কাজ করেছি, তাঁদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও খুবই উপভোগ করেছি। তবে নিজেকে প্রশ্ন করে গিয়েছি যে, কেন এটা হচ্ছে না?”
অভিনেত্রীর মন্তব্য, “কিন্তু আমি জানতাম যে, বক্স অফিসে কোনও ছবির ভাগ্য আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। একজন অভিনেতা হিসেবে আপনাকে আপনার সেরাটাই দিতে হবে। আমার অভিনয় প্রশংসিত হয়েওছিল। আর এভাবেই আমি এগিয়ে গিয়েছি এবং নিজের ইচ্ছা মতো কাজ চালিয়ে গিয়েছি। আর সেই ফলই এখন পাচ্ছি। আসলে প্রত্যেককেই কঠিন অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।”
অবশ্য এরপরেই সোনাক্ষী আরও যোগ করেন যে, “অবশেষে এখন আমি এমন সব চরিত্র হাতে পাচ্ছি, যেগুলির জন্য আমি অপেক্ষা করে ছিলাম। আসলে এই প্রত্যেকটি চরিত্রই একে অপরের থেকে আলাদা। আমি সত্যিই উপভোগ করছি।”
এখানেই শেষ নয়, সোনাক্ষী আরও এক গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তাঁর বক্তব্য, “এটা সহজ নয়। আর কিছু কিছু সময় বিষয়টা সঠিক বলে মনেও হয় না। যখন পরিচালকরা আপনার কাছে আসেন, তাঁরা জানেন যে, আপনি কী করতে পারেন! কিন্তু টাকার কথা উঠলেই সকলে চান যে, প্রত্যেকে বিশেষ করে অভিনেত্রীরা নিজেদের পারিশ্রমিক কমিয়ে দেবেন।”
অভিনেত্রী বলে চলেন, “আমি বুঝতে পারি না কেন এমনটা হয়! আর কীভাবেই বা এটা হয়? এটাই হয় আর এটাই হয়ে আসছে। এটা একটা লড়াই, যেটা মহিলাদেরই লড়তে হয়। যদিও আমাদের একাধিক লড়াই লড়তে হয়। আর পারিশ্রমিকের বিষয়টাও এই লড়াইয়ের মধ্যে অন্যতম।”