একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিল্পা বলেছেন, “মাঝে মধ্যে জল মাথার উপরে উঠে যায়। একজনের বিরুদ্ধে সবাই ঘোঁট পাকাচ্ছে, উস্কানি দিচ্ছে। এরকম পরিস্থিতি সবাই সামলাতে পারে না। সবাই ঠিক, সবাই ভুল। আমি শুরু থেকে ওঁকে বলে গিয়েছি, মুখ বুজে থাকুন, কারও সঙ্গে তর্ক করার দরকার নেই। একদিকে আসিম একা। অন্য দিকে, সবাই দল বেঁধে ওঁকে উস্কানি দিচ্ছে। আমি বলেছিলাম, রোহিত শেঠির সঙ্গে তর্ক করবেন না। কিন্তু ওরা ওঁর স্বভাব জানত। তাই উস্কানি দিয়ে গিয়েছে।’’
advertisement
আসিম রিয়াজ ‘খতরো কা খিলাড়ি’-কে ‘বিগ বস’-এর মতো শো ভেবেছিলেন বলেও মন্তব্য করেন শিল্পা। তাঁর কথায়, “এটা ওঁর ভুল। তবে আসিম আক্রমণাত্মক নন, একটু বেশি কথা বলেন, এই যা। নিজের জীবনের দুঃখ, অভিজ্ঞতার কথাগুলো বলতে চেয়েছিলেন। বেশি কথা বলা ওঁর অভ্যাস। ওঁকে থামাতে হয়। হ্যাঁ, ওঁর বলার ধরন ভুল ছিল, কিন্তু আক্রমণাত্মক ছিল না। আসলে কোথায় থামতে হয় রিয়াজ জানে না।’’
প্রসঙ্গত, সঞ্চালক রোহিত শেঠি ও প্রতিযোগীদের সঙ্গে খারাপ আচরণের কারণে ‘খতরো কা খিলাড়ি ১৪’ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে আসিম রিয়াজকে। একটা টাস্ক থেকে ঘটনার সূত্রপাত। আসিম, আশিস মেহরোত্রা এবং নিয়তি ফাতনানকে পতাকা নিয়ে আসতে বলা হয়। আশিস এবং নিয়তি টাস্ক পালন করেন। কিন্তু বেঁকে বসেন অসীম। টিমের সদস্যদের তিনি বলেন, “আমার সামনে করে দেখান। করতে পারলে এক টাকাও নেব না। ক্যামেরা চালু আছে। করে দেখান।’’ সঞ্চালক রোহিত শেঠি তখন রিহার্সালের ভিডিও দেখান আসিমকে। সেখানে দেখা যায়, নিরাপদে এই কাজটা করছেন তাঁর টিমের সদস্যরা। তিনি জানান, প্রতিযোগীদের টাস্ক দেওয়ার আগে সবকিছু পরীক্ষা করে দেখা হয়।
কিন্তু আসিম সে সব মানতে নারাজ। তখন রেগে যান রোহিত। সোজাসুজি বলে দেন, “গতকালও আপনি অনেক বাজে কথা বলেছিলেন। আজ আবার একই কাজ করছেন। আমার কথা শুনুন। নাহলে এবার মারব। খারাপ আচরণ করবেন না।’’ কিন্তু আসিম থামেননি। সহযোগী প্রতিযোগী অভিষেক কুমারের সঙ্গে ঝগড়া করতে শুরু করেন। এরপরই ‘খতরো কা খিলাড়ি’ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।