TRENDING:

ছেলে অধ্যয়নের সুইসাইড, মুখ খুললেন বিধ্বস্ত শেখর সুমন!

Last Updated:

বোধ হয় আর একটু চেষ্টা করলে ছেলেটা বেঁচে যেত। আসলে এটাই আমাদের নিয়তি। আর নিয়তিকে বদলানো যায় না!

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#মুম্বই: অধ্যয়ন সুমন (Adhyayan Suman) সুইসাইড করেছেন ! এমনই একটি খবর ছড়িয়ে পড়েছিল মিডিয়ায়। খবরটা শোনা মাত্রই কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন শেখর সুমন (Shekhar Suman) ও তাঁর স্ত্রী। পরে জানা যায়, খবরটি সম্পূর্ণ ভুয়ো। এর জেরে পরিবারের পাশাপাশি বলি-পাড়াতেও রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়। আর এ নিয়েই বেজায় চটেছেন অভিনেতা শেখর। সংবাদমাধ্যমের এইরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপে রীতিমতো ক্ষুব্ধ ও হতাশ তিনি। তাঁর কথায়, এই ধরনের কাজ ক্ষমার অযোগ্য। ওই মিডিয়া সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
advertisement

শেখরের কথায়, কথাটা শোনা মাত্র আমি ও আমার স্ত্রী ভয়ে গুটিয়ে গিয়েছিলাম। কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল শরীরটা পাথর হয়ে গিয়েছে। অধ্যয়ন দিল্লিতে ছিল। তাঁর ফোনও আউট অফ রিচ ছিল। ছেলের খবর না পাওয়া পর্যন্ত আতঙ্কেই হাজার বার মৃত্যু হয়েছে আমাদের। গোটা বিশ্বকে জানাতে চাই অধ্যয়ন ঠিক আছে। তাঁর সুইসাইড নিয়ে যে ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়েছে, তা ক্ষমার অযোগ্য। আমার ও আমার স্ত্রীয়ের উপর দিয়ে যে কী গিয়েছে, তা কল্পনা করা যায় না!

advertisement

SpotboyE-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখরের বক্তব্য, বিষয়টিতে নরম হওয়ার কোনও জায়গাই নেই। ওই মিডিয়া সংস্থা যে ক্ষতি করেছে, তা ক্ষমা দিয়ে পূরণ করা যায় না। আইনের পথে যতটা যাওয়া সম্ভব, ততটা যাব। এই ধরনের পদক্ষেপের জন্য কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি হওয়া উচিৎ। একটাই ইচ্ছে, এই ঘটনা যেন একটা দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে। কারণ এখান থেকে প্রত্যেককে শিক্ষা নিতে হবে। যারা শুধু হিট খবর ও TRP-এর পিছনে দৌড়োতে গিয়ে এই ধরনের ভুলভাল কাজ করছে, সেই সমস্ত সংস্থাকে সচেতন হতে হবে!

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

প্রসঙ্গত, মাত্র ১১ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল শেখর সুমনের বড় ছেলে আয়ুষ সুমনের (Aayush Suman)। ছেলের মৃত্যু নিয়ে IANS-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখর জানান, বড় ছেলের মৃত্যু সারাজীবন আমার মাথা থেকে বেরোবে না। সত্যি বলতে আমাদের কাছে আয়ুষ আজও বেঁচে আছে। আমাদের সঙ্গে আছে। ছেলের জন্য স্ত্রী অলকাকে সারা জীবন কষ্ট পেতে দেখেছি। আমাদের কাছে আয়ুষ সব ছিল। আয়ুষকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। তবুও মাঝে মাঝে মনে হয়, আয়ুষকে বাঁচাতে আরও কিছু করতে পারতাম। বোধ হয় আর একটু চেষ্টা করলে ছেলেটা বেঁচে যেত। আসলে এটাই আমাদের নিয়তি। আর নিয়তিকে বদলানো যায় না!

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
ছেলে অধ্যয়নের সুইসাইড, মুখ খুললেন বিধ্বস্ত শেখর সুমন!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল