সারাদিন উপোস করে রাতের খাবার যখন খেতে বসেন, সেই সময় অজ্ঞান হয়ে যান শেফালি। সারাদিন না খাওয়ার পরেও সেদিন রাতে শেফালি রোজের মতো অ্যান্টি এজিংয়ের ইঞ্জেকশনও নেন। শেফালি বহু বছর ধরে বয়স কমানোর চিকিৎসা করাছছেম। ফলে চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে ওষুধ খেতে হয়। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সারাদিন না খাওয়ার পরেও সেই কড়া ডোজের ওষুধ খান, তারপরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
advertisement
২৭ জুন রাতে শেফালীর শারিরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর স্বামী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালে পৌঁছলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সময় শেফালির স্বামী পরাগ ত্যাগী মা এবং আরও কয়েকজন সদস্য বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। ফরেনসিক দল তাঁর বাড়ি থেকে ‘অ্যান্টি এজিং’ ওষুধের শিশি, ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট, গ্যাস্ট্রিক বা গ্যাসের ট্যাবলেট-সহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ বাজেয়াপ্ত করেছে।
অন্যদিকে, শেফালি জরিওয়ালা মৃত্যু মামলার লাগাতার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় পরিবারের সদস্য, গৃহকর্মী এবং বেলভিউ হাসপাতালের এক চিকিৎসক-সহ আটজনের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ, তদন্ত চলছে।