TRENDING:

যে ফুল না ফুটিতে... ২৪টা শীত পেরিয়েই ফুরলো আয়ু, লেখা হল না প্রাণ

Last Updated:

মৃত্যু তো হেরেই গিয়েছিল তার কাছে৷ কিন্তু আবার ফিরে এল৷ এবার আরও নির্দয় হয়ে৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: "চুপের পরে কী আর কথা...'
advertisement

সে চুপ করল, শব্দহীনও হল৷ শুধু 'আয়ু লেখা' হল না আর৷ মৃত্যু তো হেরেই গিয়েছিল তার কাছে৷ কিন্তু আবার ফিরে এল৷ এবার আরও নিষ্ঠুর হয়ে৷

এবারের ছবিটা আগের দুবারের মতো হল না আর৷ মিথ্যে হল প্রার্থনা, বিজ্ঞান৷ মিথ্যে হল না কেবল মৃত্যু৷ জীবনের সবচেয়ে অপ্রিয়, অথচ সবচেয়ে কঠিন সত্যির সামনে দাঁড়াতে হল আজ৷ আর ফিরলেন না ঐন্দ্রিলা৷ এতদিনে ঐন্দ্রিলা শর্মার নামটা অজানা খুব কম মানুষের কাছে৷ কারও কাছে লড়াইয়ের সমার্থক ঐন্দ্রিলা, কারও কাছে ঐন্দ্রিলার অর্থ প্রাণশক্তি৷ অল্পে হেরে যাওয়া, হাঁফিয়ে ওঠা, আশা ছেড়ে দেওয়া মানুষগুলোকে নিজের অজান্তেই বাঁচতে শিখিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা৷ বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, 'এভাবেও ফিরে আসা যায়৷'

advertisement

প্রার্থনা করেছিল সবাই- এ লড়াই থামুক জীবনের জয়ে৷ ঐন্দ্রিলা হয়ে উঠেছিল কত অচেনা অজানা মানুষের মেয়ে৷ তার সঙ্গে একই আকাশের নীচে বাঁচতে চেয়েছিল কত হেরে যাওয়া মানুষ৷ ঐন্দ্রিলা নিজেও বিশ্বাস করতেন, এত আনন্দ আয়োজন সবই বৃথা আমায় ছাড়া৷ আজ সবটাই শেষ হয়তো৷ পরপর দুবার ক্যানসার, ব্রেন স্ট্রোক, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, হৃদরোগের কাছে হেরেই গেল সব প্রার্থনা, নিরলস চিকিৎসা৷

advertisement

'আমি ভালবাসি যারে, সে কী কভু আমা হতে দূরে যেতে পারে...' সব্যসাচীর মতো আমরাও ভেবেছিলাম এমনই৷ সব্যসাচী ঐন্দ্রিলার মধ্যে থাকা আরও একটা প্রাণশক্তির নাম৷ প্রেমিক শব্দটা বোধ হয় বড়ই ছোট তাঁর জন্য বলার৷ বরং ঐন্দ্রিলার সহযোদ্ধাই ছিলেন তিনি৷ তাঁর বিশ্বাস ছিল নিজের হাতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন ঐন্দ্রিলাকে৷ লড়াই চালাতে চালাতে প্রার্থনা করেছিলেন অলৌকিকেরও৷ "আমার ঐন্দ্রিলা আছে, প্রচন্ডভাবে আছে... ঠিক ফিরে আসবে৷ ওর একা থাকতে বিরক্ত লাগে৷" তাঁর এক একটা লেখায় ভরসা পাচ্ছিল কত লক্ষ কোটি মানুষ৷ কিন্তু সেই বিশ্বাসও ফুরলো৷ ফুরলো কি? হয়তো, ফুরায় শুধু চোখে...

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ফাঁকা জায়গার লাগবে না, আমবাগানেই হচ্ছে কুইন্টাল কুইন্টাল ফলন! বিনা ব্যয়ে লাভ পাচ্ছেন চাষি
আরও দেখুন

অন্ধকারেই হারিয়ে গেল একটা জীবন্ত আলো৷ চলে তো যেতেই হয়, সবাইকে একদিন৷ কিন্তু মাত্র ২৪টা বসন্ত দেখা একটা প্রাণবন্ত মেয়ের চলে যাওয়াকে অমোঘ সত্যির মতো করে মেনে নেওয়ার ক্ষমতা কারই বা আছে৷ ঐন্দ্রিলা নিজেও চেয়েছিলেন বাঁচতে৷ প্রাণভরে পৃথিবী দেখতে৷ উদযাপন করেছিলেন নিজের ফিরে আসা৷ যেতে নাহি দিব, যেতে নাহি দিব... এমনইতো ভেবেছিল সবাই, আঁকড়ে ধরা হাত ছেড়েই গেল শেষে৷ তবুও সময় হল শেষ, তবু হায় যেতে দিতে হল...

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
যে ফুল না ফুটিতে... ২৪টা শীত পেরিয়েই ফুরলো আয়ু, লেখা হল না প্রাণ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল