শত্রুঘ্ন সিনহা এদিন বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলগুলি অনেক সময় শুধু জনপ্রিয়তার জন্য চলচ্চিত্র তারকাদের রাজনীতিতে নিয়ে আসে, কিন্তু তাদের ন্যূনতম রাজনৈতিক বা ঐতিহাসিক জ্ঞানও দেওয়া হয় না। এর ফলেই বিব্রতকর মন্তব্য, বিতর্ক এবং দ্রুত রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।’’ ‘নির্বাচন জিততে সেলিব্রিটিদের ব্যবহার করা হয়, শাসন ব্যবস্থা পরিচালনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় না’, মন্তব্য শত্রুঘ্নর৷
advertisement
ধর্মেন্দ্র ২০০৪ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত বিকানিরের থেকে বিজেপির সাংসদ ছিলেন। কেন তিনি এরপর রাজনীতি ছেড়ে দিলেন—এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সিনহা বলেন, দায় যেমন অভিনেতার, তেমনি তাকে নিয়ে আসা রাজনৈতিক দলেরও।
তিনি বলেন, “যারা তাকে নিয়ে এসে নির্বাচন লড়িয়েছিল, তারাও দায়ী। ভোটের দরকার পড়লে তারকাদের আনা হয়। কিন্তু নির্বাচন শেষ হলেই ফলো-আপ নেই, দিকনির্দেশ নেই, প্রশিক্ষণ নেই।”
সেলিব্রিটিদের দায়িত্ব দেওয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর তাদের ব্রিফ করা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত বলে তিনি জোর দেন।
এরপরেই পরোক্ষভাবে কঙ্গনা রানাওয়ারতের স্বাধীনতা নিয়ে করা বিতর্কিত মন্তব্যের উল্লেখ্য করে নাম না করেই কঙ্গনাকে খোঁচা দিয়ে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, ‘‘‘কমপক্ষে তাদের বলুন, ভারত কবে স্বাধীন হয়েছে৷’’ সেলিব্রিটিদের রাজনীতির মৌলিক শিক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তোলের শত্রঘ্ন৷ ‘‘জনসম্মুখে কথা বলার আগে অন্তত কিছু সাধারণ তথ্য জেনে নেওয়া উচিত৷’’
প্রসঙ্গত, অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত বিজেপিতে যোগদানের পর এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন ‘‘২০১৪ সালেই ভারত “আসল স্বাধীনতা” পেয়েছে, ১৯৪৭-এর স্বাধীনতা ছিল ভিক্ষা”৷ কঙ্গনার এই মন্তব্য নিয়ে একসময় প্রচুর বিতর্ক হয়েছে৷ রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, নাম না করে শত্রুঘ্ন ফের কঙ্গনাকেই খোঁচা দিলেন নেতা-অভিনেতা বিতর্ক উসকে৷
