কাপুর পরিবারের উত্তরাধিকার বয়ে নিয়ে যেতে পারেননি আদিত্য। নিজেই তাই রাজ এবং রণধীর কাপুরের থেকে দূরত্ব রচনা করেছিলেন। শনিবার রাজ কাপুরের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছে কাপুর পরিবার। তখন এই কথা বলছেন আদিত্য।
আরও পড়ুন: টাকা, সাফল্য হাতের মুঠোয়! এই তারিখগুলিতে জন্ম নিলেই কোটিপতি হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না
advertisement
রাজ কাপুরকে কী চোখে দেখতেন আদিত্য? ই-টাইমস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলছেন, “ওহ রাজ কাপুর–রূপালি পর্দার এক কবি। রোম্যান্সকে নতুন আঙ্গিকে দেখেছিলেন। আজও তাঁর চোখ দিয়ে স্ক্রিপ্ট, এডিটিং, ছবি পরিচালনার চেষ্টা করেন অনেকে। এটাই উত্তরাধিকার। যাঁরা অন্য রকমভাবে ভাবার সাহস করেছিলেন। রাজ কাপুর এদিক থেকে অতুলনীয়।”
রাজ কাপুর মানে এক ঘরানা। সেটা গল্প বলার ঢং হোক কিংবা পরিচালনা, সবেতেই তিনি অনন্য। আদিত্য বলছেন, “আমি মাঝে মধ্যেই ভাবি, একটা নতুন সিনেমার ভাবনা কেমন হতে পারে। তিনি সামাজিক বিষয় দিয়ে শুরু করেছিলেন। তারপর তাতে রোম্যান্স মেশালেন। শেষে চরিত্রগুলোর মধ্যে এক জটিল সম্পর্ক তৈরি করলেন। এককথায় অদ্ভুত। পরিচালনা এবং প্রযোজনার দিক থেকে ভারতীয় সিনেমায় বিপ্লব এনেছিলেন তিনি।”
আদিত্য রাজ কাপুরের সঙ্গে কাজ করেছেন। সে এক অভিজ্ঞতা, “কয়েক বছর আরকে স্টুডিওতে রণধীর কাপুর এবং রাজ কাপুরের কাছে কাজ করেছি। আজীবন মনে থাকবে। সেই সময় রাজ সাহাব যে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছিলেন, আজ স্টিফেন স্পিলবার্গের কোনও অ্যাপ্রেন্টিসও তা করতে পারবে না। কারণ তখন আমরাই সময়কে আবিষ্কার করেছি। আজ, কম্পিউটার প্রযুক্তি এসে গিয়েছে। অনেক পার্থক্য। রাজ সাহাব খুঁটিনাটি বিষয়েও গভীর মনোযোগ দিতেন। সাধারণ জিনিসের মধ্যে সৌন্দর্য খুঁজে পেতেন। আসলে সাধারণকে অসাধারণ করে তোলার ক্ষমতা ছিল তাঁর। গল্প বলার প্রতি তাঁর আবেগ গান আর সিনেমাটোগ্রাফির সঙ্গে মিশে গিয়েছিল। কখনও শর্টকাট নেননি, মন ঢেলে কাজ করেছেন।”
শশী কাপুর এবং রাজ কাপুরের পরিবারই কাপুরদের উত্তরাধিকারকে বয়ে নিয়ে চলেছে। শাম্মি কাপুরের পরিবার বরাবরই স্পটলাইট থেকে দূরে থেকেছেন। এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন আদিত্যও, “হ্যাঁ, দূরেই থেকেছে। দীর্ঘদিন রাজ কাপুর এবং তাঁর পুত্র রণধীর কাপুরকে এড়িয়ে চলতাম। আমার অন্য কিছু করার পিছনে নিজস্ব কারণ ছিল। রাজ কাপুর সিনেমার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সব কিছুই করে ফেলেছেন। আমি আর নতুন কী করতে পারতাম?”