শুভেন্দুর ১৪ তম প্রয়াণবার্ষিকীতে শাশ্বতর পোস্টে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা ৷ স্মরণ করেছেন শুভেন্দুর অভিনয়প্রতিভা ও ব্যক্তিত্বকে ৷ তাঁর স্নিগ্ধ উপস্থিতি, ছোট ছোট সংলাপ কেটে কেটে বলার কায়দা সবই ভেসে এসেছে নেটিজেনদের স্মরণিকায় ৷
উত্তমকুমার, সৌমিত্র, বিশ্বজিতের স্বর্ণালী সময়েই নিজের বৃত্ত উজ্জ্বল করেছিলেন শুভেন্দু ৷ অভিনয়ের টানে ডাক্তারির মতো পেশাও চলে গিয়েছিল অনেকটা দূরে ৷ ১৯৬০ সালে এমবিবিএস সম্পূ্র্ণ করার পরে চাকরি করতেন কলকাতা পুরসভায় ৷ পাশাপাশি চলত মঞ্চাভিনয়ও৷ আইপিটিএ-এর অন্যতম মুখ শুভেন্দুর অভিনয় প্রভাবিত হয়েছিল জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়ের ছায়ায় ৷
advertisement
ছবিতে প্রথম পদার্পণ ১৯৬৫ সালে, মৃণাল সেনের ‘আকাশকুসুম’-এ৷ প্রথম ছবিতেই সহ-নায়ক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ৷ মহানায়কের সঙ্গে প্রথম স্ক্রিনশেয়ার সত্যজিৎ রায়ের ‘চিড়িয়াখানা’-য়৷ এর পর একে একে তাঁর নামের পাশে যোগ হয়েছে ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, ‘চৌরঙ্গি’, ‘আরোগ্য নিকেতন’, ‘নায়িকার ভূমিকায়’, ‘অনিন্দিতা’, ‘এখনই’, ‘ছদ্মবেশী’, ‘অমৃতকুম্ভের সন্ধানে’, ‘গণশত্রু’, ‘ভানু গোয়েন্দা জহর অ্যাসিস্ট্যান্ট’, ‘প্রথম কদম ফুল’ এবং ‘কুহেলী’৷
পরবর্তী প্রজন্মের পরিচালকদের সঙ্গেও তাঁর কাজ স্মরণীয় ৷ ‘লাল দরজা’, ‘মনের মানুষ’, ‘দহন’, ‘দেশ’, ‘আবার অরণ্যে’-তাঁর শিরোপা বর্ণময় রঙিন পালকে ৷ নায়কোচিত হয়েও অনায়াস গতি হতে পারে চরিত্রাভিনয়ে, তার সমার্থক ছিলেন শুভেন্দু৷ সেলুলয়েডের ব্যস্ততাতেও ভুলে যাননি মঞ্চকে ৷ বহু নাটকে তাঁর অভিনয় সমৃদ্ধ করেছে বাংলা থিয়েটারকে ৷
শাশ্বত একবার বলেছিলেন, শুভেন্দু তাঁকে কোনওদিন অভিনেতা হওয়ার জন্য বলেননি৷ আবার নিরুৎসাহীও করেননি ৷ অভিনেতার ছেলে হওয়ার জন্য বিশেষ সুবিধা, সেই ধারণার বিরোধী ছিলেন ‘চৌরঙ্গি’-র নায়ক ৷ তাই শুভেন্দুতনয়কে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা করে নিতে হয়েছে প্রতিভা ও স্বকীয়তার জোরেই ৷ সত্তা জুড়ে বিরাজ করে থাকা ‘বাপি’-কে শাশ্বত প্রতি মুহূর্তেই শ্রদ্ধার্ঘ্য দেন, তাঁর নিজের অভিনয়ের মাধ্যমে ৷