TRENDING:

Sandhya Mukherjee:ডান কানে শুনতে পেতেন না সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ! তারপরেও জয় করেছেন গানের ভুবন

Last Updated:

Sandhya Mukherjee: ১৭ বছর বয়সেই জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। কানেই শুনতে পেতেন না সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: দারুণ মনের মানুষ ছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukherjee)। তিনি নিজে এত বড় মাপের শিল্পী ছিলেন, কিন্তু সে কথা কখনও তাঁকে দাম্ভিক করেনি। বরং তিনি ছিলেন মাটির মানুষ। নিজে থেকে ফোন করতেন আজকের প্রজন্মের শিল্পীদের। বলতেন, 'তোমার গান আমার খুব ভাল লাগে।" রূপঙ্কর, রূপম ইসলাম সহ অনেকেই তাঁর এই মায়া ভরা ফোনালাপের সাক্ষী। এত শক্তি এবং মানুষকে সম্মান দেওয়ার ক্ষমতা কোথা থেকে পেতেন তিনি? অথচ নিজের জীবনে কম বাধা কিন্তু তাঁকে পেরোতে হয়নি।
advertisement

গানে ভুবন ভরিয়ে রেখেছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়(Sandhya Mukherjee)। অথচ তাঁর গান শুনে কে বলবে যে তিনি ডান কানে শুনতে পেতেন না! অবাক লাগবে এ কথা শুনলে। সত্যিই তিনি ডান কানে শুনতেন না। ছোটবেলা থেকেই নানা বিপদের মধ্যে তাঁর জীবন কেটেছে। কিন্তু তিনি নিজের শক্তিতে জয় করেছেন সবটাই। ছোটবেলায় এক দুর্ঘটনায় বাঁচার কথাই ছিল না তাঁর!

advertisement

 আরও পড়ুন: বাপ্পিদা-মিঠুন! হাতে হাত রেখে দুই বাঙালির মুম্বই জয়ের গল্প ! নতুন যুগের সূচনা করেছিল 'ডিস্কো ডান্সার'

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের(Sandhya Mukherjee) বাড়ি ঢাকুরিয়ার ব্যানার্জী পাড়ায়। তাঁদের দোতলা বাড়ি। বাড়ির দু পাশে নিচু ছাদ। সেখানে বাড়ির সকলে শাড়ি শুকোতে দিত। ভিজে শাড়ি রোদে মেলা হত। শাড়ি যাতে উড়ে না যায়, সেজন্য বড় আধলা ইঁট চাপা দেওয়া হত শাড়ির ওপরে। আর বিকেলে শাড়ি শুকিয়ে গেলে তোলার দায়িত্ব ছিল ছোট্ট সন্ধ্যার। কিন্তু সেই শাড়ি তুলতে গিয়ে কাণ্ড ঘটালেন তিনি। নিচে দাঁড়িয়েই শাড়িতে টান। মাথায় এসে পড়ে সেই ইঁট। সাংঘাতিক অবস্থা। ডাক্তার হসপিটাল ছোটাছোটি। সে যাত্রায় ডাক্তারদের চেষ্টায় প্রাণ বাঁচে তাঁর। তবে কানে এই সময় ক্ষতি হয় না।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ফাঁকা জায়গার লাগবে না, আমবাগানেই হচ্ছে কুইন্টাল কুইন্টাল ফলন! বিনা ব্যয়ে লাভ পাচ্ছেন চাষি
আরও দেখুন

সে সময় ১৭ বছর বয়স সন্ধ্যার(Sandhya Mukherjee)। গানের জগতে একটু একটু করে নাম হচ্ছে তাঁর। হঠাৎ একবার মাম্পস হয় তাঁর। অনেক চিকিৎসাতেও ফল মেলে না। যদিও পরে এই অসুখ সেরে যায়। কিন্তু চিরকালের মতো ক্ষতি হয় তাঁর। ডান কানটা নষ্ট হয়ে যায়। তারপর কত ডাক্তার, কত চেষ্টা কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। সে সময় কানের মেশিন এত ভাল ছিল না। শেষ পর্যন্ত এক কানে না শুনেই একের পর এক গান গেয়েছেন তিনি। এ এক ঐশ্বরীক ক্ষমতাই বটে। আজ তাঁর প্রয়ানে শোকস্তব্ধ গোটা বাংলা। না ফেরার দেশে হারিয়ে গেলেন তিনি।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
Sandhya Mukherjee:ডান কানে শুনতে পেতেন না সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ! তারপরেও জয় করেছেন গানের ভুবন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল