জগনবীর সলমন-ভক্ত বলেই তিনি দেখা দিলেন, তা নয়, গত পাঁচ বছর ধরে তার চিকিৎসার খরচ সলমন নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে প্রথমবার মুম্বইয়ের ক্যানসার হাসপাতালে জগনবীরের সঙ্গে আলাপ হয় সলমনের। যেখানে ৪ বছরের একরত্তির টিউমারের জন্য কেমোথেরাপি চলছিল।
কেমোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জেরে জগনবীর দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে। জগনবীর স্পর্শ করে সলমনের উপস্থিতি অনুভব করেছিল। সলমনের হাতের ব্রেসলেট দেখে তাঁকে চিনেছিল একরত্তি।
advertisement
মারণরোগের সঙ্গে যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পরে জগনবীরকে দেখতে আসেন সলমন। তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সলমন, যোদ্ধার মতো লড়াই করার উৎসাহও দিয়েছিলেন। এবার জয়ী হওয়ার পর সলমন কথা রাখলেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সলমনের বান্দ্রার বাসভবনে দেখা হয় দু’জনের।
জগনবীরের মা সুখবীর কৌর জানান, ৩ বছর বয়সে জগনবীর টিউমারের কারণে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিল। , চিকিৎসকরা দিল্লি বা মুম্বইতে চিকিৎসা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। জগনবীরের বাবা পুষ্পিন্দর তাকে মুম্বই নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। জগন ভেবেছিল, সে সলমনের সঙ্গে দেখা করতে চলেছে।
এবার দেখা হওয়ার পর সলমনের মুখ এবং ব্রেসলেট স্পর্শ করে তাঁর উপস্থিতি টের পায় জগনবীর। তার মা জানান, ছেলে এখন ভাল আছে, ৯৯ শতাংশ দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাচ্ছে এবং সে নিয়মিত স্কুলেও যায় এখন।