আয়ান যখন তাঁর মায়ের জন্য একটা মর্মস্পর্শী বার্তা নিয়ে ঘরে ঢোকেন, তখন ঘরের মেজাজ বদলে যায়। গর্ব প্রকাশ করে আয়ান মাকে বলেন, “পুরো হিন্দুস্তান তোমায় দেখছে, তুমি এটা শেষ না করে বেরও না। বাড়িতে সবাই, তোমার ১২ বছরের নাতনিরা, আমি, তোমার বড় ছেলে, তোমার বউমা, তুমি যাদের স্পর্শ করেছ, তারা সবাই তোমার জন্য গর্বিত। আইনজীবী হিসেবে তুমি যে কিন্নর সমাজকে সাহায্য করেছো, তারা আমাকে ডাকছে। আজ আমি যা হয়ে উঠেছি, তোমার কারণেই। তোমাকে মা হিসেবে পেয়ে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান মানুষ। তোমাকে আমার জন্য শক্তিশালী হতে হবে এবং বাইরেও তুমি একজন সহায়তাকারী।”
advertisement
মায়ের নিজের উপরে মনোযোগ দিতে উৎসাহিত করে তিনি আরও বলেন, “তুমি তোমার বাবার জন্য, তার পর তোমার স্বামীর জন্য, এবং তোমার ছেলেদের জন্য জীবন কাটিয়েছ, এখন নিজের জন্য বাঁচার সময়, তোমার বয়স ৬২ বছর। তোমাকে আমার জন্য শক্ত হতে হবে, মা।”
সহ-প্রতিযোগী ফারহানা কুণিকাকে ফ্লপ অভিনেত্রী বলে অভিহিত করেছিলেন এবং তাঁর সন্তানদেরও তর্ক-বিতর্কে টেনে এনেছিলেন, তার কয়েকদিন পরেই এই কথার জবাবে সলমন আয়ানকে ঘরের ভিতরে গিয়ে ফারহানার সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ দেন।
তাঁদের আলাপচারিতার সময়ে আয়ান তাঁর মায়ের অতীত সংগ্রামের কথা খুলে বলেছিলেন। তিনি স্মরণ করেছিলেন যে কীভাবে মা তাঁর ভাইয়ের জন্য দীর্ঘ হেফাজতে লড়াই করেছিলেন এবং কেরিয়ার গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। সেই যাত্রার কথা ভাগ করে নিয়ে তিনি বলেন, “এক ছোটি বাচ্চি হ্যায়, উনকা বাস এক সপনা হ্যায় কে উনকা এক ছোটা সা ঘর হো, পতি হো, বাচ্চে হো এবং উনকো সুখ চাহিয়ে থা…কিঁউকি উনকো আপনে মা বাবা সে না মিলা বচপন মে। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর। তিনি এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে নিজের বাবাকে বলেছিলেন যে তাঁকে বিয়ে করতে চান। বিয়েটা হয় ঠিকই, কিন্তু বাচ্চাটাকে এক হিল স্টেশন কেউ তাকে অপহরণ করে।”
তিনি আরও বলেন, “এর পর সেই মামলা লড়তে তিনি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করেছিলেন এবং অর্থ উপার্জন করেছিলেন। ওই পয়সা নিয়েই তিনি প্রতি সপ্তাহে মুম্বই থেকে দিল্লি ফ্লাইটে যেতেন, ১২ বছর মামলা লড়ার পর আমার ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কিন্তু তার পরেও তাঁর হৃদয়ের ভালবাসা থামেনি এবং তিনি আমার বাবাকে বিয়ে করেছিলেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান, সব কিছু ছেড়ে। এখন যখন আপনারা বলেন উনি সব সময়ে রান্নাঘরে ঢুকে আসেন, খাবার খাবার বলে চেঁচান, আরে, এটা দেখুন যে উনি এই সব কিছু জীবনে পাননি!”
সলমনও এগিয়ে এসেছিলেন আয়ান আর কুণিকা সমর্থনে, বিগ বসের বাড়ির লোকদের মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে কারও জীবন তুলে কথা বলা উচিত নয়।