TRENDING:

Saif Ali Khan's Attacker: সইফকে রক্তাক্ত করার পর ৬ টাকার চা, ৬০ টাকার পাও ভুর্জীই ধরিয়ে দিল ‘শাহরুখ-ভক্ত’ শরিফুলকে!

Last Updated:

Saif Ali Khan's Attacker: গত ১৫ ডিসেম্বর ঠানের এক রেস্তরাঁয় চাকরি হারিয়ে মরিয়া হয়ে ওঠে শরিফুল৷ কার্যত কপর্দকহীন অবস্থায় বেশি কিছু না ভেবেই ডাকাতি করা চেষ্টা করে সইফের বাড়িতে৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মুম্বই : চরম দারিদ্র সহ্য করতে না পেরেই সইফ আলি খানের বাড়িতে ডাকাতি করার ছক করেছিল সে, পুলিশের দাবি জেরায় এটাই স্বীকার করেছে অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজাজ মহম্মদ রোহিল্লা আমিন ফকির ওরফে বিজয় দাস৷ এই বাংলাদেশি নাগরিক সিম কার্ড পাওয়ার জন্য মেঘালয়ের এক স্থানীয় বাসিন্দার আধার কার্ডও ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ৷ তদন্তকারীদের দাবি, গত ১৫ ডিসেম্বর ঠানের এক রেস্তরাঁয় চাকরি হারিয়ে মরিয়া হয়ে ওঠে শরিফুল৷ কার্যত কপর্দকহীন অবস্থায় বেশি কিছু না ভেবেই ডাকাতি করা চেষ্টা করে সইফের বাড়িতে৷
কার্যত কপর্দকহীন অবস্থায় বেশি কিছু না ভেবেই ডাকাতি করা চেষ্টা করে সইফের বাড়িতে
কার্যত কপর্দকহীন অবস্থায় বেশি কিছু না ভেবেই ডাকাতি করা চেষ্টা করে সইফের বাড়িতে
advertisement

গত বছর সেপ্টেম্বরে ঠানের ওই রেস্তরাঁয় কাজ করতে শুরু করে শরিফুল৷ তার আগে ওরলির এক রেস্তরাঁয় চাকরি করত৷ বেতন ছিল ১৩ হাজার টাকা৷ তার থেকে নিজের জন্য ১ হাজার টাকা রেখে বাকিটা বাংলাদেশে মায়ের কাছে পাঠিয়ে দিত, জানিয়েছে পুলিশি জেরায়৷ সেখান থেকে চুরির দায়ে চাকরি হারানোর পর ঠানের রেস্তরাঁয় কাজ শুরু করে৷ কিন্তু সেখানে বিনা কারণে কাজ চলে যাওয়ার পর ডাকাতি করার কথা ভাবে শরিফুল৷

advertisement

জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে মেঘালয়ের ডাওকি নদী পেরিয়ে ভারতে ঢোকে৷ সেখান থেকে পৌঁছয় অসমে৷ তার জন্য দালালকে ১০ হাজার টাকা ঘুষও দিতে হয় তাকে৷ অসম থেকে বাসে কলকাতায় পৌঁছয় শরিফুল৷ কলকাতায় ৩ দিন কাটিয়ে বাসে মুন্বই পৌঁছয় মে মাসে৷ মুম্বইয়ে প্রথম কয়েক দিন কাটায় পথের ধারে, এদিক ওদিক ঘুরে৷ মাসখানেক পর ওরলির রেস্তরাঁয় কাজ শুরু করে৷

advertisement

ডিসেম্বরের শেষে এবং জানুয়ারির শুরুতে বান্দ্রার অভিজাত এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে রেকি চালায় শরিফুল৷ তার পর ১৫ জানুয়ারি গভীর রাতে ডাকাতির পরিকল্পনায় সইফ আলি খানের বাড়িতে হানা দেয়৷ সইফকে ছুরির আঘাতে রক্তাক্ত করে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায় শরিফুল৷ বান্দ্রা-খের থেকে ট্রেনে পৌঁছয় দাদারে৷ তখনও সে জানত না তার হাতে গুরুতর জখম যিনি হয়েছেন তিনি নামী বলিউডি তারকা৷ পুলিশের কাছে এমনটাই জানিয়েছে সে৷ পাশাপাশি, পুলিশকে ধৃত শরিফুল এও জানিয়েছে যে সে শাহরুখ খানের ফ্যান৷ বান্দ্রায় কিং খানের বাংলো ‘মন্নত’-এ উঁকিঝুঁকি দেওয়ার চেষ্টাও করে৷ কিন্তু ব্যর্থ হয়৷ তার বন্ধুবান্ধবরা নাকি প্রায়ই বলত শরিফুলকে দেখতে শাহরুখ খানের মতো৷

advertisement

আরও পড়ুন : মাদারিহাট উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পরে প্রথম আলিপুরদুয়ার সফরে মুখ্যমন্ত্রী, বিশেষ গুরুত্ব চা বলয়কে

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

কিন্তু কী করে পলাতক শরিফুলের সন্ধান পেল পুলিশ? সেখানে সূত্র হিসেবে কাজ করে মোবাইল৷ গত ১৮ জানুয়ারি ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে ৬ টাকায় এক কাপ চা এবং ৬০ টাকা দিয়ে এক প্লেট পাও ভুর্জী কিনে খায় সে৷ এটাই তার কাল হয়৷ ই-ওয়ালেট ব্যবহার করা মাত্র তার লোকেশন ট্র্যাক করে ফেলে পুলিশ৷ তার পর ধরতে আর সময় লাগেনি৷ মোবাইলের পাশাপাশি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে শরিফুলের টুপি, স্কার্ফ এবং জামা৷ অপরাধের পর এগুলি সে পরিবর্তন করেছিল৷ তবে যে ছুরি দিয়ে সইফ আলি খানকে আঘাত করা হয়েছিল তার খোয়া যাওয়া অংশ এখনও পায়নি পুলিশ৷

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
Saif Ali Khan's Attacker: সইফকে রক্তাক্ত করার পর ৬ টাকার চা, ৬০ টাকার পাও ভুর্জীই ধরিয়ে দিল ‘শাহরুখ-ভক্ত’ শরিফুলকে!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল