কিছু দিন আগে অনলাইন ক্লাসের সময় আবার সেই ফোন আসে ৷ প্রবীণা আবার জানতে চাইলেন, রূপঙ্করের স্ত্রী ও কন্যা কেমন আছেন ৷ সঙ্গে সতর্কতা, রূপঙ্কর যেন বাড়ি থেকে বাইরে বার না হন ৷ বার হলেও যেন অন্যদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখেন ৷
কার ফোনে অভিভূত হয়েছিলেন গায়ক? আর কেউ নন, তাঁকে ফোন করেছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ৷ নবতিপর শিল্পীর কথায় মুগ্ধ রূপঙ্কর তাঁরও কুশল সংবাদ নেন ৷ ফোনের ওপার থেকে তিনি বলেন, ‘'আমার কথা ছাড়ো। তোমাদের অনেক কিছু দেওয়ার আছে বাংলা সঙ্গীত জগৎকে। সাবধানে থেকো।’
advertisement
ভাল লাগার রেশ জড়িয়ে থাকা এই দূরভাষ সংলাপের কথা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন রূপঙ্কর ৷ তাঁর পাশাপাশি মুগ্ধ নেটিজেনরাও ৷
রূপঙ্করের পোস্টের প্রেক্ষিতে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন লোপামুদ্রা মিত্রও ৷ তাঁর কাছেও এসেছে গীতশ্রীর ফোন, সপ্তাহখানেক আগে ৷ ফোনে তিনি লোপামুদ্রার সংবাদ নিয়েছেন ৷ গান শুনিয়েছেন ৷ গান শুনেওছেন লোপামুদ্রার কাছ থেকে ৷ বলেছেন, তিনি তো দিদি ৷ তাই সকলের খোঁজ নিচ্ছেন ৷
বয়োজ্যেষ্ঠ শিল্পীর মহানুভবতা এবং কর্তব্যজ্ঞানে বাকরুদ্ধ রূপঙ্কর, লোপমুদ্রার মতো এই প্রজন্মের গানের কান্ডারিরা ৷ লোপামুদ্রার পাল্টা প্রশ্ন নিজেদেরই--আমরা কি এভাবে কারওর খোঁজ করি? বা খোঁজ করব?
দুই প্রজন্মের সেতুবন্ধনের সাক্ষী থাকল অতিমারিকাল ৷
