রূপম (Rupam Islam) লিখেছেন, ‘‘বাবা খুব ভক্ত ছিলেন পিলুদার পারফর্মেন্সের। আমাকে শিখতে বলতেন— দ্যাখ কী করে পিলু ‘এক দঙ্গল ছেলে’ গেয়ে হলভর্তি মানুষকে নাচিয়ে দিল— তুই পারবি?’’ শিল্পী পিলুও শ্রদ্ধা করতেন রূপমের বাবাকে ৷ সেইসঙ্গে স্নেহ রূপমের জন্য ৷
প্রথমে পিলুকে ‘আপনি’ করে সম্বোধন করতেন রূপম ৷ পরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমে অন্তরঙ্গ হয় সম্পর্ক ৷ পরবর্তীতে টেলিভিশনে ‘দাদা না দিদি’ অনুষ্ঠানে রূপমের দল ‘রকবাজ’-এ অংশ নিয়েছিলেন পিলু ৷ সে সময় তাঁদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়, স্মৃতিচারণ করেছেন রূপম ৷ প্রতিযোগিতা জিততে না পারলেও দর্শকমন জয় করেছিল ‘রকবাজ’, সে সুখস্মৃতি এখনও ছুঁয়ে যায় রূপমকে ৷
advertisement
‘রকবাজ’ দলের স্পিরিটের সঙ্গে তাঁর ‘পিলুদা’-ও তাঁর জীবনে বেঁচে থাকবেন আজীবন, বিশ্বাস রূপমের ৷
ফসিলস-এর মঞ্চেও রূপমের সঙ্গে ছিলেন পিলু ভট্টাচার্য ৷ তাঁর গান রেকর্ড করেছেন রূপম ৷ যখনই দেখা হয়েছে, দু’জনে মজা করেছেন ৷ মনে পড়ছে রূপমের ৷ পাশাপাশি মনে ভিড় করে আসছে পিলুর কণ্ঠে রসিকতা ৷ রূপম কালো জামা পরতে ভালবাসেন ৷ তাঁর কালো জামার সংগ্রহ দেখে শিল্পী বলতেন, ‘রূপমের আলমারি খুললেই লোডশেডিং হয়ে যায়’৷ কথাগুলো তাঁর মনের দেওয়ালে চিরস্থায়ী, বলছেন রূপম ৷ পিলু ভট্টাচার্য না ফেরার দেশে চলে যাওয়ায় আরও এক বার লোডশেডিং হয়ে গেল ৷ এ বার আর আলমারিতে নয়, রূপমের মনে ৷
‘ফসিলস’ কর্ণধারের স্মৃতিচারণায় ফিরে এসেছে কিছু বেপথু মুহূর্তও ৷ ‘দাদা না দিদি’ অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে রূপম লিখেছেন, ‘‘কিছু মানুষ আমাদের ঘৃণা করত, আমায় ঘৃণা করত। সে ধরনের মানুষের ভালবাসা বা সমর্থন তো আমরা চাইনি! তাদের ঘৃণা আজও আমাদের পাথেয় হয়ে আছে।’’
সেই চক্রান্তগুলো তাঁর ভোলেননি ৷ লিখেছেন রূপম , কিন্তু আজ, এতদিন পর পুরো ব্যাপারটাই তাঁদের কাছে পাল্টে গিয়েছে ‘মজা’-য় ৷ প্রয়াত শিল্পীর জন্য রূপম বলতে চান, ‘পিলুদা, ঘাবড়াও মৎ— রকবাজদের রিইউনিয়ন হবেই, তোমাকে ফাটিয়ে পারফর্ম করতে হবে, তৈরি হও!’