কপিলকে রণধীর বলেন যে, “ভীষণই ট্র্যাডিশনাল একটা পরিবেশ থাকত। কিন্তু যখন থেকে এই রং এসেছে, সময় বদলেছে, মানুষের মুখগুলোও যেন বদলে গিয়েছে যে, কাউকে চেনাই যায় না। আর এমন দিন এসেছিল, যখন লোকেরা অচেনা মানুষদেরই খোঁচা দিয়ে কথা বলতেন।”তিনি আরও বলে চলেন যে, “আর মেয়েরাও আসা বন্ধ করে দিয়েছিল, কারণ ওঁদের চুল খারাপ হয়ে যায় কিংবা নখ খারাপ হয়ে যায়। বলেন, আবার আমাদের বিউটি পার্লার যেতে হবে। তো এই নতুন প্রজন্মের মেয়েরা পুরোপুরি ভাবে আসা বন্ধ করে দিলেন। আর মেয়েরা যে-ই আসা বন্ধ করে দিলেন, তখন আমি আর ঋষি ঠিক মজা পেতাম না।”
advertisement
আবার পঞ্চান্ন-তম আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়া (IFFI)-র মঞ্চেও আরকে স্টুডিওতে আয়োজিত এলাহি হোলি পার্টির কথা তুলে ধরেছিলেন রণবীর কাপুর। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন যে, শুধুমাত্র অভিনেতা-অভিনেত্রীরাই নন, ছবির কলাকুশলী, কর্মী সকলেই হোলির আনন্দে মেতে ওঠার জন্য উপস্থিত থাকতেন। পরিচালক রাহুল রাওয়েলের সঙ্গে আলাপচারিতায় ঋষি-পুত্র বলেন যে, “আমি তখন অনেকটাই ছোট ছিলাম। ফলে আমার জন্য পরিবেশটা বেশ ভয়ঙ্করই ছিল। সকলেই কালো আর নানা রকম রঙ মেখে রয়েছেন। সবাইকে ট্রাকে ছুড়ে দেওয়া হত। আমার মনে হয়, তোমার হয়তো এর থেকে ভাল স্মৃতি রয়েছে।” জবাবে রাহুল বলেন, “তুমি একদম ঠিকই বলেছো। সকলেই কালো,নীল, হলুদ রঙ মেখে থাকতেন। এটা সত্যিই একটা উদযাপনের দিন ছিল বটে!”
রণবীর বলে চলেন, “আমি যেটা শুনেছি, শুধুমাত্র অভিনেতা-অভিনেত্রীরাই নন, সমগ্র ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রত্যেকেই উপস্থিত হতেন। এমনকী যাঁরা ক্যামেরা, প্রোডাকশনের কাজ করেন, প্রত্যেকেই আসতেন এবং একযোগে উদযাপন করতেন।” কিন্তু এই পার্টি বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, “ধীরে ধীরে এই পার্টি বন্ধ হয়ে গেল, কারণ প্রচুর মানুষ ভিড় করতেন। যে কেউ ঢুকে পড়তেন। ফলে তা সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে উঠত।”