নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলিতে দেখা যাচ্ছে যে, রিহানা নিজের হিট গানগুলিতেই মঞ্চ মাতিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম হল – ‘পওর ইট আপ’, ‘রুড বয়’ এবং ‘কনসিডারেশনস’। ওই ব্যক্তিগত কনসার্টে নিজের এনার্জেটিক পারফরম্যান্সের মাধ্যমে মঞ্চে যেন আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববরেণ্য পপতারকা। নেচে উঠেছিলেন আমন্ত্রিত অতিথিরাও। একটি নিয়ন-সবুজ গ্লিটারি সি-থ্রু পোশাকে অসাধারণ দেখাচ্ছিল পপ-সম্রাজ্ঞীকে। সেই আউটফিটের সঙ্গে একটি লম্বা লাল রঙের কেপ দিয়ে লেয়ারিংও করেছিলেন তিনি।
advertisement
পারফরম্যান্সের সময়ই হবু বর-কনে অর্থাৎ অনন্ত এবং রাধিকাকে অভিনন্দন জানান রিহানা। পপ-তারকা বলেন, “সকলকে শুভ সন্ধ্যা। আজ রাতে এখানে থাকতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমি কখনও ভারতে আসিনি। আম্বানি পরিবারকে অনেক ধন্যবাদ, তাঁদের কারণেই আজ আমি এখানে এসেছি। অনন্ত এবং রাধিকা, আমাকে এখানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ! ঈশ্বর আপনাদের এই মিলন মঙ্গল করুন। আপনাদের জন্য অনেক শুভ কামনা রইল। অভিনন্দন।” বেশ কিছু ভাইরাল ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে, মঞ্চে হবু বর অনন্ত আম্বানির সঙ্গে পোজ দিয়েছেন রিহানা। এর পাশাপাশি আরও একটা ছবিতে দেখা গিয়েছে যে, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি, তাঁর স্ত্রী নীতা আম্বানি, বড় পুত্র ও পুত্রবধূ আকাশ আম্বানি ও শ্লোকা মেহতা এবং কন্যা ইশা আম্বানির সঙ্গে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন পপতারকা।
রাধিকা-অনন্তের এই প্রাক-বিবাহ উৎসবের আসরে বসেছে চাঁদের হাট। সেখানে যোগ দিয়েছেন বলিউডের সুপারস্টার শাহরুখ খান, দীপিকা পাড়ুকোন, রণবীর সিং, রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট, অক্ষয় কুমার, জাহ্নবী কাপুর, কিয়ারা আডবানি, সিদ্ধার্থ মালহোত্রা, সাইনা নেহওয়াল, শানায়া কাপুর, অনন্যা পাণ্ডে, আদিত্য রয় কাপুর, হার্দিক পাণ্ড্য, সচিন তেন্ডুলকর, এমএস ধোনি, বরুণ ধাওয়ান, শ্রদ্ধা কাপুর, সইফ আলি খান, করিনা কাপুর খান, নীতু কাপুর এবং মাধুরী দীক্ষিত-সহ আরও অনেক তারকা।
তিন দিনব্যাপী ওই প্রাক-বিবাহ উৎসবে এক-এক দিন রাখা হচ্ছে এক-এক রকম থিম। প্রথম দিনের থিম ‘অ্যান ইভনিং ইন এভারল্যান্ড’। ফলে ড্রেস কোড থাকছে ‘এলিগ্যান্ট ককটেল’। আবার দ্বিতীয় দিনের থিম ‘আ ওয়াক অন দ্য ওয়াইল্ডসাইড’। ফলে থাকছে ‘জাঙ্গল ফিভার’ ড্রেস কোড। আর ওই দিনের অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে জামনগরে আম্বানিদের অ্যানিম্যাল রেসকিউ সেন্টারের বাইরে। ফলে আরামদায়ক পোশাক এবং জুতো পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এরপর ‘মেলা রুজ’-এর জন্য অতিথিদের বদলে ফেলতে হবে সাফারি-থিমের আউটফিট। এর জন্য ড্রেস কোড রাখা হয়েছে ‘ড্যাজলিং দেশি রোমান্স’। এক্ষেত্রে দক্ষিণ এশীয় পোশাক পরতে হবে সকল আমন্ত্রিতকে। আর শেষ দিনে রয়েছে দু’টি বড় অনুষ্ঠান। এর মধ্যে প্রথমটি হল ‘টাস্কার ট্রেলস’। এক্ষেত্রে ড্রেস কোড হতে চলেছে ক্যাজুয়াল চিক। শেষ পার্টির নাম ‘হস্তাক্ষর’। সন্ধ্যার এই অনুষ্ঠানের ড্রেস কোড হল দুর্দান্ত ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পোশাক।