অথচ শুরুর ছবি ছিল যথেষ্ট মসৃণ৷ অনিল বিশ্বাসের সুরে ও পরিচালনায় গীতশ্রী প্লেব্যাক করলেন ‘তরানা’ ছবিতে৷ প্রথম গানেই পরিচয় লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে৷ দ্বৈত কণ্ঠে লতা ও সন্ধ্যা করেন ‘বোল পাপিহে বোল রে’৷ মধুবালার কণ্ঠ এখানে লতা এবং শ্যামার লিপে ছিল সন্ধ্যার কণ্ঠ৷
কিন্তু সন্ধ্যা মাত্র দু’ বছর ছিলেন মুম্বইয়ে৷ ১৯৫২ সালে ফিরে আসেন কলকাতায়৷ এর পর কলকাতাতেই বিস্তৃত হয় তাঁর সুরের যাত্রাপথ৷ কিন্তু কেন মুম্বই থেকে ফিরে আসতে হল তাঁকে? কারওর দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেননি সন্ধ্যা৷ লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গেও সন্ধ্যার হৃদ্যতা ছিল সর্বজনপরিচিত৷ মুম্বই গেলে এভারগ্রিন হোটেলে থাকতেন সন্ধ্যা৷ সেখানে এসে দেখা করে গিয়েছেন লতা৷ পরবর্তীতে কলকাতায় এসেছেন সন্ধ্যার ঢাকুরিয়ার বাড়িতেও৷
advertisement
আরও পড়ুন : নবীন প্রজন্মের সঙ্গে ছিল নিবিড় যোগাযোগ, তাঁর প্রজন্মজয়ী সুরের আনন্দঝর্নায় সিঞ্চন অনন্ত
কিন্নরকণ্ঠী লতার সঙ্গে সন্ধ্যার সম্পর্ক নিয়ে বার বার গুঞ্জরিত হয়েছে গুঞ্জন৷ কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক প্রকাশ্যে সব সময় ছিল সৌহার্দ্যমূলক৷ বলিউডের মোট ১৭ টি ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন সন্ধ্যা৷ কিন্তু কলকাতাই থেকেছে তাঁর কাজের ভরকেন্দ্র৷ তাঁর ফিরে আসার কারণ রয়ে গিয়েছে রহস্যাবৃত হয়েই৷
আরও পড়ুন : মুক্তিযুদ্ধে গীতশ্রীর অবদান ভুলবে না ওপার বাংলা
প্রসঙ্গত লতা এবং সন্ধ্যা দু’জনেই রোম্যান্টিক গানের প্রতিভূ৷ এদিকে সন্ধ্যা যদি হন সুচিত্রা সেনের কণ্ঠের দোত্যক, তবে অন্যদিকে লতা সে সময় প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন মধুবালা, সায়রা বানু, বৈজয়ন্তীমালা-সহ একাধিক রোম্যান্টিক নায়িকার কণ্ঠে৷ দুই শিল্পীর বেশভূষাও ছিল একইরকম, মাটির কাছাকাছি৷ বিনুনিশোভিত একঢাল চুলের সঙ্গে সাদা শাড়ি, এই আটপৌরে সাজে তাঁরা সমসাময়িক সময়ে সুরমূর্ছনায় ভরিয়ে তুলেছেন বিনোদন দুনিয়াকে৷ তবে সমান্তরাল পথে৷ সরস্বতীর দুই বরপু্ত্রীর সুরলোকে চলে যাওয়ার দিনদু’টিও রয়ে গেল কাছাকাছিই৷