মণিপুরী সংস্কৃতি অনুযায়ী বিয়ের পোশাক হিসেবে রণদীপ পরেছিলেন কোকয়েত, পায়জামা এবং ফেইজোম বা ধুতি। কনে লিনের পরনে ছিল সাবেক মণিপুরী পোশাক পটলোই। মেরুন আর সোনালি কম্বিনেশনের পটলোইয়ের সঙ্গে ছিল মানানসই সোনার গয়না। মাথার মুকুট থেকে গলার সারি সারি হার-সোনার ঝিলিকে লিন হয়ে ওঠেন অপরূপা। দেখে মনে হচ্ছিল যেন মণিপুরী নৃত্যশিল্পীদের পোশাক। তাঁদের সাজ প্রশংসিত ও চর্চিত সোশ্যাল মিডিয়ায়।
advertisement
মণিপুরী রীতি রেওয়াজ অনুযায়ী বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয় ‘বরযাত্রা’ দিয়ে। এই যাত্রার অগ্রভাগে ছিলেন রণদীপ। জলজ উদ্ভিদে বোনা আসন ‘কৌনা ফক’-এ তিনি বসেছিলেন পূর্বদিকে মুখ করে। এর পর প্রার্থনা ও অভিভাবকদের আশীর্বাদ গ্রহণের পর শুরু হয় অনুষ্ঠান। কনের বাড়িতে প্রবেশের পর রণদীপকে স্বাগত জানানো হয় মণিপুরী বাঁশের তৈরি আলো, ফুল এবং ধূপ দিয়ে। এর পর ছিল লেই-কোইবা এবং কুন্ডো-হুকপা বা মালাবদলের অনুষ্ঠান।
সাবেক বিয়ের রীতি অনুযায়ী কনে লিম বসেছিলেন। বর রণদীপ তাঁকে ঘিরে সাতপাক ঘোরেন। আগুনের পরিবর্তে প্রকৃতির প্রতীক স্বরূপ ফুলের চারপাশে ঘোরা হয়। বিয়ের আবহ হিসেবে ছিল মৃদঙ্গধ্বনি এবং বৈষ্ণব মন্ত্রপাঠ।
৪ বছরের প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর বিয়ে করলেন ৪৭ বছর বয়সি রণদীপ এবং ৩৭ বছরের লিন। জীবনসঙ্গীর চিন্তাভাবনা ও সংস্কৃতিকে সম্মান জানাতেই এভাবে বিয়ে, জানিয়েছেন রণদীপ। শুভ্রতার আবহে তাঁদের বিয়েতে আড়ম্বরকে ছাপিয়ে উঠে এসেছে সংস্কৃতি এবং সাবেকিয়ানা।