ফেসবুকে ছবি সংক্রান্ত রানার সমস্ত পোস্টের তলায় কেউ না কেউ তাঁকে বারবার ছবির লক্ষ্মীলাভ নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। রানা কিন্তু চুপ থাকেননি। ৬ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট পাঁচ দিনের বক্স অফিস কালেকশনের টাকার অঙ্ক লিখে জানিয়ে দেন তিনি। আর সেখান থেকেই জানা যায়, পাঁচ দিনে 'মানবজমিন'-এর লক্ষ্মীলাভ হয়েছে ৩ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা। বক্স অফিসের নিরিখে যে পরিমাণ বেশ কমই।
advertisement
সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় রানা সমস্ত ট্রোলের জবাব দিয়েছেন। এক নেটিজেন প্রশ্ন করেন, 'বক্স অফিসের হিসাবে এত খারাপ অবস্থা কেন? বিশ্লেষণ করলে?' রানার উত্তর, 'এটা জানতামই। আমার আগের পোস্ট দেখুন।'
বক্স অফিসের হিসেব দেওয়ার আগেই ছবি না চলার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন প্রযোজক। তাঁর লেখায়, 'এটা তো শিল্প। টাকা ঢালার পর কত ফেরত আসছে, সেটা দেখাই একমাত্র লক্ষ্য নয়। একে বলে সামাজিক দায়বদ্ধতা, কেবল লাভ লোকসান নয়। একটা লক্ষে পৌঁছাতে পেরে ভাল লাগছে।' তার পরেই ছবির পরিচালক শ্রীকাতকে উল্লেখ করে লিখেছেন, 'মানবজমিনের জন্য ধন্যবাদ শ্রীজাত।'
কিন্তু এখানেই শেষ হয়নি কটাক্ষ। একের পর এক মন্তব্যের জবাব দিতে হয় তাঁকে। কেউ প্রশ্ন করেন, 'সেকি! ইন্ডাস্ট্রিতে আপনি তাহলে কী করছেন? আমরা কত আশায় ছিলাম, আপনার হাত ধরে বাংলা সিনেমার সুদিন ফিরবে?' রানার সটান জবাব, 'আমার একার দায়?'
আরও পড়ুন: সুপার সিঙ্গারে উকুলেলে নিয়ে মন মাতানো গান আতরের, মুগ্ধ রূপম পেলেন পারিবারিক মিল!
আরও পড়ুন: চঞ্চল-সৃজিতের জন্য বিশেষ বার্তা দিলেন অমিতাভ! কী বলছেন আপ্লুত পরিচালক
তিনি আরও জানান, 'এখানে ব্যবসা করতে আসিনি। কাজ করে যাব।' উত্তর, পালটা উত্তরেও ক্লান্ত নন প্রযোজক। বেশ কোমর বেঁধেই ছবি বানানোর কাজে নেমেছেন বলেই বোঝা যাচ্ছে৷ এখন আপাতত শ্রীজাতর সঙ্গে পরবর্তী ছবির কাজে ব্যস্ত তিনি। 'চল রাস্তায় সাজি ট্রামলাইন'-এর জন্য বেছে নিয়েছেন সোহিনী সরকার এবং পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কেই।