এই সিরিজ সম্পর্কে পরিচালক-অভিনেতা কমলেশ্বর বললেন, 'এই সময় একটি রাজনৈতিক সিরিজ বানানো জরুরি বলে আমার মনে হয়েছে। আমার ধারণা নতুন প্রজন্ম এই ধরনের কন্টেন্ট দেখতে চায়। 'রক্তপলাশ' বানাতে গিয়ে আমি অনেক কিছু শিখেছি। বিশেষ করে, একসঙ্গে বেশ কিছু ভাল অভিনেতা কাজ করলে, কাজের মান কতটা উন্নত হয়, সেটা দেখলাম। খুব কঠিন শ্যুটিং শিডিউল ছিল। তবে আমরা একটা পরিবার হয়ে কাজ করেছি। আমার চিত্রগ্রাহক টুবান ও প্রোডাকশন ডিজাইনার তন্ময় ছাড়া এই কাজটা এতো ভাল হতো না। এই সিরিজ বানানো একটু খরচ সাপেক্ষ ছিল। ডার্ক এনার্জি ও ক্লিক পাশে না দাঁড়ালে, এটা সম্ভব ছিল না।'
advertisement
আরও পড়ুন: ১০০০ কোটির ব্যবসা RRR-এর, চুটিয়ে উদযাপন সেলেবদের! দেখুন পার্টির অন্দরের ছবি
সিরিজের গল্প এগিয়েছে সাত বন্ধুর হাত ধরে। জঙ্গলমহলে অবস্থিত একটি রিসোর্টে বেড়াতে যায় সাতজন উচ্চমধ্যবিত্ত মানুষ। শুরুতে তারা ভ্রমণবিলাসে মজে যায়। তবে নৈশ আড্ডায়, রিসোর্ট মালিকের প্ররোচনায়, সেই বিশিষ্টজনেদের অতীত জীবনের লুকোন, অন্যায় ও অপরাধমূলক কাজকর্মের ইতিহাস সামনে আসতে থাকে। এরই মধ্যে হঠাৎ করেই তারা আধাসামরিক বাহিনী ও একদল চরমপন্থীর লড়াইয়ে মাঝে পড়ে যায়।
প্রতিকূল সময়, সভ্য জীবন যাপনের শহুরে মুখোশ খুলে গিয়ে তাঁদের, ভেতরে থাকা স্বার্থপর জান্তব চারিত্রিক বৈশিষ্টগুলো স্পষ্ট হতে থাকে। সাতজনের আভ্যন্তরীণ সাদা-কালোর দ্বন্দগুলো উন্মুক্ত হতে না হতেই তারা রিসোর্টে বন্দি হয়ে পড়েন মুক্তিপনের টোপ হিসেবে। চরমপন্থীরা সময় দেয় ঘন্টা চারেক। প্রশাসনের তরফে নিযুক্ত হন এক সরকারি মধ্যস্থতাকারী।
আরও পড়ুন: পঞ্জাবি মতেই সব অনুষ্ঠান, আলিয়া-রণবীরের বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু চার দিন আগে থেকে!
তাঁদের মধ্যে কে বিশ্বাসঘাতক ? কী ছিল তাদের পুরোনো পাপ ? কেনই বা তাদের পণবন্দী হতে হয় চরমপন্থীদের হাতে ? কীভাবে প্রশাসন পৌঁছবে তাদের কাছে ? বন্দিরা কি আদৌ চরমপন্থীদের হাত থেকে রেহাই পাবে ? এই টানটান রোমাঞ্চ ও রহস্যের গল্প আরো গভীরে গিয়ে জানতে হলে দেখতে হবে 'রক্তপলাশ'।