ছবিটি মুক্তির কয়েকদিন পর রাসবিহারীতে গেছেন তরুণবাবু৷ বিদেশি পত্রিকা কিনতে৷ একজন একটা ক্যাফেতে ডেকে নিয়ে বসালেন৷ সামনে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি সাদর আপ্যায়নে তরুণ বাবুকে চা, জলখাবার খাওয়ালেন৷ তার পর বললেন, 'খাওয়াইলাম ক্যান জানেন? আপনি প্রমাণ কইরা দিসেন কমেডিয়ানদের দিয়াও ভাল রোল হয়!'... "
আরও পড়ুন: যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন...
advertisement
আজ আকাশ অংশত মেঘলা৷ চলে গেলেন তরুণ মজুমদার৷ একটা আপাদমস্তক প্রচারমুখর শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থেকেও প্রচারবিমুখভাবে চলে গেলেন৷ অবশ্য বেঁচে থাকাকালীনও ছিলেন প্রচারধর্মী হতে চাননি৷ তিনি আজীবন বিশ্বাস করেছেন একটাই কথা, 'আমার তো গল্প বলা কাজ৷'গল্পই তিনি বলেছেন৷ সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন ততদিনে নিজেদের ঘরানা তৈরি করে ফেলেছেন। সেই ঘরানার মধ্যে থেকেও তাঁর যাত্রা ছিল সতন্ত্র৷ যেখানে সবটাই কথার কথা৷ আবার তার ব্যপ্তিও সমুদ্রের মতো৷ শুধু বিনোদনের কথা তিনি ভাবেননি৷ শুধু ব্যবসাও না৷ বরং গল্প থেকে বানিয়েছেন অন্য এক নতুন গল্প৷
আরও পড়ুন: বর্ষীয়ান চিত্রপরিচালক তরুণ মজুমদার
'তালুক ছেড়ে মুলুক ফেলে ঘরের বার' ই হলেন তিনি৷ আবার কোনও এক শারদপ্রাতে হয়তো মনে পড়বে তাঁর আলোকে৷ এও এক ব্যথার উপশম, সমস্ত ক্ষতের মুখে পলি... আপাতত কালের কষ্টিপাথরে লিখে দিয়ে গেলেন এক নাম, সেই নাম চিরতরুণই৷