জামনগরের কাছে হাপা গ্রামে রাহুলের জন্য প্রার্থনাসভার আয়োজন করা হয়৷ তার বাবা, পেশায় অটোরিকশা চালক রামু কোলী বলেন, ‘‘ও খুব খুশি ছিল৷ বার বার বলত যে ১৪ অক্টোবরের পর আমাদের জীবন পাল্টে যাবে৷ কিন্তু তার আগেই ও চলে গেল৷’’ প্রসঙ্গত ১৪ তারিখই মুক্তি পাবে ছবিটি৷ ঘটনাচক্রে সেদিনই অনুষ্ঠিত হবে রাহুলের পারলৌকিক ক্রিয়া৷ গুজরাতি ভাষায় যে অনুষ্ঠানকে বলা হয় ‘তেরমু’৷
advertisement
আমেরিকার পরিচালক প্যান নলিন ওরফে নলিন পাণ্ড্যর জীবনের উপর ভিত্তি করেই আবর্তিত হয়েছে ‘চেলো শো’-এর গল্প৷ সৌরাষ্ট্র অঞ্চলে তাঁর বড় হয়ে ওঠা, ছবির জাদুর প্রতি আকর্ষণ-সবই ধরা পড়েছে ছবিতে৷ সেখানে রাহুল অভিনয় করেছে রেলওয়ে সিগন্যালম্যানের ছেলে মনুর চরিত্রে৷ ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্র সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এই মনু৷ মোট ৬ জন শিশু অভিনেতা অভিনয় করেছেন এই ছবিতে৷ প্রত্যেক চরিত্রই চিত্রনাট্যে গুরুত্বপূর্ণ৷ পরিচালক নলিন জানিয়েছেন রাহুলের মৃত্যুতে ছবির ইউনিটের প্রত্যেকে বিধ্বস্ত৷ তাঁর কথায় ‘‘আমরা সকলে ওর পরিবারের পাশে ছিলাম৷ কিন্তু রাহুলকে রাখতে পারলাম না৷’’
আরও পড়ুন : টুইটার ছাড়লেন করণ জোহর! মুছে ফেললেন অ্যাকাউন্ট, তাঁর শেষ টুইটে রেখে গেলেন রহস্য়...
‘চেলো শো’ শ্যুটিঙের সময় কেউ জানত না রাহুলের শরীরে বাসা বেঁধেছে কঠিন অসুখ৷ রোগের অস্তিত্ব ধরা পড়ে শ্যুটিং শেষ হওয়ার পর ৷ গত চার মাস ধরে তার চিকিৎসা চলছিল৷ তবে ‘চেলো শো’-এ রাহুলের অভিনয় দেখবেন তার পরিবার পরিজনরা৷ তিন ভাইবোনের মধ্যে রাহুল ছিল সবথেকে বড়৷ তার চিকিৎসার জন্য অটো রিকশা বিক্রি করে দিতে হয়েছে রামুকে৷ সে কথা জানার পর ছবির ইউনিটের তরফে আবার তাঁকে অটো রিকশা ফিরিয়ে দেওয়া হয়৷
আরও পড়ুন : মানসিক রোগ থাবা বসায় সেখানেও, বলিউডি তারকারা ভুগছেন এই রোগে
বারো দিন আগেই ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া গুজরাতি ভাষার ছবি ‘চেলো শো’-কে ৯৫ তম অস্কারের মঞ্চে পাঠানোর জন্য মনোনীত করে৷ এর আগে ২০০৩ সালে অস্কারে গিয়েছিল গুজরাতি ছবি ‘দ্য গুড রোড৷’ সেটির মতো ‘চেলো শো’-ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে সেরা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বিভাগে৷