যদি শাহরুখের কেরিয়ারগ্রাফটা দেখা যায়, তাহলে অনুরাগীদের একথা যে খুব একটা ভুল তা কিন্তু একেবারেই নয় ৷ একটু ভেবে দেখুন, শাহরুখ আর ট্রেন যেন পর্দায় এক ম্যাজিক তোলে ৷ আর ম্যাজিকের চোটে বক্স অফিসে লক্ষ্মীলাভ!
‘রইস’ ছবির প্রোমোশনের জন্য শাহরুখ বেছে নিলেন ট্রেনকে ৷ আর ট্রেন রুট মুম্বই থেকে দিল্লি ৷ ঠিক যেন শাহরুখের কেরিয়ারের উল্টো রুট ৷ দিল্লি থেকে ট্রেনে চেপেই তো মুম্বইয়ে এসেছিলেন, কিছু একটা করবেন ভেবে৷ তখনও কী শাহরুখ ভেবেছিলেন, একদিন তিনিই হয়ে উঠবেন বলিউডের বাদশা খান ! তাই হয়তো সেই ট্রেনকেই বেছে নিলেন শাহরুখ খান ৷ একে তো বলিউডে শাহরুখের ২৫ বছর ৷ অন্যদিকে নতুন ছবির রিলিজ ৷ সব মিলিয়ে ব্যাপারটায় নস্ট্যালজিয়ার ফিল ৷
advertisement
সালটা ১৯৯২ ৷ ছবির নাম রাজু বনগয়া জেন্টালম্যান ৷ দার্জিলিঙের টয়ট্রেনে চেপে মুম্বইতে আসছেন শাহরুখ ৷ মুম্বইতে চাই চাকরি ৷ স্ট্রাগল পিরিয়ড ৷ তারপর ছবির গল্পে নানা মোড়, শেষমেশ রাজু ওরফে শাহরুখ খান হলেন জেন্টালম্যান৷ রাজু বনগয়া জেন্টালম্যানের সঙ্গে যেন শাহরুখের জীবন গল্পটাও অনেকংশা মিলে যায় ৷ বলিউড বাদশার জায়গা নেওয়াটা খুব একটা সহজ ছিল না শাহরুখের কাছে ৷
সেই ট্রেনের সঙ্গে শাহরুখের দেখা ৷ তারপর থেকে যে ছবিতে শাহরুখ আছেন, আর ট্রেন ৷ তা রীতিমতো বলিউডের মাইলস্টোন ছবির রূপ নিয়েছে ৷ যেমন দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গের ক্লাইম্যাক্স ৷ ট্রেনের দরজা থেকে হাত বাড়িয়ে কাজলকে ইশারা ৷ এ যেম গোটা বিশ্বে বলিউডের পাকা পোক্ত ইমেজ ৷ সেই ইমেজকে আবার ফিরিয়ে আনলেন দীপিকা ও শাহরুখ ৷ ছবির নাম চেন্নাই এক্সপ্রেস ৷
তবে এখানেই শেষ নয় ৷ দার্জিলিং স্টেশনে ধুয়ো ছেড়ে ট্রেন এসে দাঁড়াল ৷ ধুয়োর মাঝখান থেকে ব্লু জিন্স লেদার জ্যাকাটে পর্দায় এলেন শাহরুখ খান ৷ ছবির নাম ‘ম্যায় হু না ’ ৷ অন্যদিকে মণিরত্নমের ছবি ‘দিল সে’তে মালাইকা অরোরাকে সঙ্গে নিয়ে ‘ছাইয়া ছাইয়া’ নেচেই ফেললেন ট্রেনের মাথায় ৷ বলিউডে এরকম গানের দৃশ্য আগে হয়তো কেউ-ই দেখেনি৷ কুছ কুছ হোতা হ্যায় থেকে স্বদেশ , কভি অলবিদা না কহেনা ৷ শাহরুখের কেরিয়ারে ট্রেন সফর, সব সময়ই ট্রেন্ডকে নিজের দিকে টেনেছেন শাহরুখ ৷
শাহরুখ আর ট্রেন বলিউডের একটা ট্রেন্ড ৷ আর তা এতদিন পরে ফের প্রমাণ করলেন শাহরুখ নিজেই ৷ রইস ছবির প্রোমোশনে ট্রেনের ব্যবহার করে গোটা নজরটা কেড়ে নিলেন শাহরুখ ৷