“রবি রাগ পথে” শুধুমাত্র একটি আর-পাঁচটা রাবীন্দ্রিক অনুষ্ঠান নয়, রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তিন শিল্পীর গভীর অন্বেষণ। পন্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার, শ্রীকান্ত আচার্য এবং কবি জয় গোস্বামী–এই তিন জনের সাধনভূমি একেবারে ভিন্ন। তেজেন্দ্র নারায়নের ক্ষেত্রে এই ভূমি সরোদ, শ্রীকান্ত আচার্যের ক্ষেত্রে কন্ঠ এবং জয় গোস্বামীর ক্ষেত্রে ভাষা। এই তিন শিল্পী রবীন্দ্র-অন্বেষণে এমন কি আকর খুঁজে পেলেন যে তাঁরা ৯ আগস্টের সন্ধ্যায় একটা ত্রিভুজ তৈরি করবেন? এই আকর হল রাগ-রাগিনীর পথে রবীন্দ্রনাথের গানের বিস্তার। রাগপথে এই বিস্তারের অন্বেষণ তিন শিল্পীকে এক সুতোয় বেঁধে দিয়েছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। রাগ-রাগিনীর নানা বাঁকে রবীন্দ্রনাথের গান কী ভাবে আলো ফেলেছে সেই নিয়েই অনুষ্ঠান “রবি রাগ পথে”। অনুষ্ঠানে স্বাভাবিক ভাবেই রবীন্দ্রনাথের গান শোনাবেন শ্রীকান্ত আচার্য, সেই গানের আধারিত রাগ বাজিয়ে শোনাবেন পদ্মশ্রী পন্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার। এখানে জয় গোস্বামী সূত্রধর। তিনি রবীন্দ্রনাথের রচনা পাঠ করে কী ভাবে রাগ পথে রবীন্দ্রনাথের গান আলো ফেলেছে তা মিলিয়ে দেবেন, সেটাই এই অনুষ্ঠানের প্রধান চমক।
advertisement
‘রবি রাগ পথে’ নিয়ে পন্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ন বলেন, “এই অনুষ্ঠানে আমি সরোদে কোনও রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজাবো না, রবীন্দ্রনাথের গান যে রাগে আধারিত সেই রাগ বাজাবো। আসলে অনেকেই ভাবেন রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে গেলে রাগ সঙ্গীত না বুঝলেও চলবে। সেটা কিন্তু একদমই ঠিক নয়। রবীন্দ্রনাথের গানে কিছু কিছু জায়গায় রাগের এমন বিস্তার আছে, সেই রাগ না বুঝলে,না বিশ্লেষণ করলে কিন্তু ওই গান অনুভব করে ঠিকভাবে গাওয়া খুব মুশকিল। রবীন্দ্রনাথের গানে রাগের যে ব্যবহার তা এক বিস্ময়, সেই নিয়ে শুধু একটা ‘রবি রাগ পথে’ যথেষ্ট নয়। অজস্র অনুষ্ঠান করা যায়।” শ্রীকান্ত আচার্যের কথায়, “আমার তো মনে হয় রাগ সঙ্গীত নিয়ে রবীন্দ্রনাথ যা পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন আর কেউ এমন করেননি। রবীন্দ্রনাথের গানে রাগ সঙ্গীত আর কাব্য যে ভাবে মিলেমিশে আছে তা বিশ্লেষণ করলে সত্যিই বিস্ময় জাগে।”
রাগ রাগিনীর পথে রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে নতুন আলোর সন্ধান দেবেন এই সময়কার তিন উজ্জ্বল নক্ষত্র। সেই পথের পথিক হতে আমন্ত্রণ রইল আপনারও।