মিকাইলা রেইনস ২০১৭ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে সেভএএফক্স রেসকিউ নামে একটি অলাভজনক সংস্থা তৈরি করেন। এই সংস্থাটি শিয়ালদের উদ্ধার করত। এনজিওটি ১৫০টিরও বেশি শিয়ালকে বাঁচিয়েছে।
প্রয়াত ইউটিউবারের স্বামী মি. রেইনস জানান, বছরের পর বছর ধরে তাঁর স্ত্রী নানাবিধ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন। কাউন্সেলিংও চলছিল। কিন্তু তবু বাঁচানো গেল না। নিজেকে শেষ করে দিলেন তিনি। স্ত্রীর মৃত্যুকে জীবনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি বলে মনে করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘মিকায়লা সত্যিই আমার দেখা সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ক মানুষ ছিলেন। তাঁকে এখানে না পেয়ে সবকিছু শূন্য মনে হচ্ছে। আমি ভেঙে পড়েছি ঠিকই। কিন্তু আমি তাঁর সব স্বপ্নগুলোকে আগলে রাখব। আমি আশা করি ভবিষ্যতে যদি আমরা তাঁর নামে ভাল কিছু করতে পারি, তাতে তাঁর সমর্থন থাকবে।’
advertisement
প্রাণীদের নিয়ে একাধিক কাজের কারণে, তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন। ইউটিউবারের স্বামী আরও বলেন, ‘আপনারা অনেকেই জানেন যে তিনি অটিজম আক্রান্ত ছিলেন। এটি তার জীবনকে খুবই কঠিন করে তুলেছিল। এটি তাকে একটি জিনিসের উপর অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল, আর তা ছিল পশুপ্রেম। কিন্তু তাতেও শুরু হয় বুলিং। একটা নিঃস্বার্থ পশুপ্রেমের জন্য যে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিল, তার প্রতি এত নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে কী করে তোমরা যারা তাকে এই অবস্থায় ঠেলে দিয়েছো, যারা তার এই অনুভূতি দেওয়ার জন্য দায়ী, আমি আশা করি তারা নিশ্চয়ই বুঝবে।’