শুধু পল্লবীই নয়। এর আগে ২০১৪ সালে সাগ্নিকের আরও এক প্রাক্তন সৌমীও নাকি আত্মঘাতী হয়েছিলেন। সৌমীর পরিবারের দাবি, এই সাগ্নিকের জন্যই তাঁদের মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। এই ঘটনায় সাগ্নিকের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে ঐন্দ্রিলারও। সৌমীর মা জানাচ্ছেন, সাগ্নিক ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে তাঁদের বাড়িতেও গিয়েছিলেন। আর সেই দিনই নাকি আত্মঘাতী হয়েছিলেন সৌমী।
সৌমী মণ্ডলের মা ইলা মণ্ডল বলছেন, "সাগ্নিকই পুরোপুরি দায়ী ছিল। ও যে এত বড় ক্ষতি করতে পারে ভাবিনি। তখন আমায় কেউ সাহায্য করেনি। তাই ওর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারিনি। ঐন্দ্রিলার সঙ্গে ওর অনেক দিনের সম্পর্ক। বাড়ির পাশেই থাকে। আমার মেয়ে মারা যাওয়ার আগেও ওকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের বাড়ি এসেছিল সাগ্নিক।"
advertisement
আরও পড়ুন-পল্লবী শ্যুটিংয়ে গেলে অন্য এক মহিলাকে ফ্ল্যাটে আনতেন সাগ্নিক? তিনিও কি টেলিপাড়ার?
জগাছার মেয়ে সৌমীর বাবা আজয় মণ্ডল সাগ্নিকের গ্রেফতারি নিয়ে বলছেন, "আমি এটাই চেয়েছিলাম। পুলিশের কাছে সাহায্য চাইতে দৌড়িয়েছিলাম। পুলিশ সেই সময়ে আমায় সহায়তা করেনি। সেদিন সহায়তা করলে আজ পল্লবীর মাকে কাঁদতে হতো না। অন্য মেয়েরাও বেঁচে যেত। যে পরিমাণে এই ছেলেটা মেয়েদের ঠকিয়েছে, সেদিন পুলিশ সাহায্য করলে এরকম আজ হতো না।"
সাগ্নিকের জন্যই সৌমীর এমন পরিণতি হয়েছিল বলে দাবি পরিবারের। পল্লবী দের মৃত্যু তাঁদের সেই স্মৃতিই ফিরিয়ে দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন। কিন্তু শুধুই কি পল্লবী বা সৌমী? সাগ্নিকের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা একাধিক নারীর নাম উঠে আসছে। সুকন্যা মান্না নামে একজনের সঙ্গে সাগ্নিক আইনি বিয়েও সেরেছিলেন নাকি। কিন্তু প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সাগ্নিকের সঙ্গে যে মহিলার নাম জড়িয়ে আছে তিনি হলেন ঐন্দ্রিলা।