ট্যুইটারে সোনু বলেছেন, ‘শুধু এই ক্ষতিপূরণেই কি সবটা মিটে যায়? আমরা সবাই ট্যুইট করছি। দুঃখপ্রকাশ করছি। কিন্তু কিছুদিন পরই সবাই নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ব। ধীরে ধীরে এই ঘটনায় আহত-নিহতদের কথা ভুলেও যাব। কিন্তু যারা এত বড় দুর্ঘটনার মুখে পড়লেন, তাঁরা কি আর কোনওদিন স্বাভাবিক হতে পারবেন? নিহতদের পরিবারগুলি কি আর কখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে?’
advertisement
আরও পড়ুন: ‘এক অপরিচিত দাদার পকেট থেকে ফোন বের করে জানাল, ও মরে গেছে! তাহলে?’
এখানেই শেষ নয়। সোনু সুদ আরও বলেন, ‘রাজ্য সরকার, কেন্দ্র সরকারের থেকে যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে, তা তো আর কয়েকমাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু একবার ভাবুন, যার কাঁধ ভেঙে গিয়েছে অথবা পা বাদ চলে গিয়েছে, সে কি আর কখনও উঠে দাঁড়াতে পারবে? যারা নিজেদের সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন, তাদের ক্ষতি হয়ে গেলে পরিবারগুলো কীভাবে চলবে? আমার মনে হয় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কোনও এক নীতির আওতাবদ্ধ করা উচিত, ঠিক যেমনটা পেনশনের ক্ষেত্রেও হয়। প্রয়োজনে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকাও তাঁদের দেওয়া উচিৎ।’
আরও পড়ুন: ঘণ্টায় ১২৮ কিমি গতিবেগে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস, কিন্তু কেন? বিরাট রহস্য
একে অপরকে দোষারোপ না করে, প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছেন অভিনেতা। শুক্রবার ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর তহবিল থেকে আলাদা করে টাকা দেওয়ার কথা জানান। এদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের তরফে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করার পর সন্ধেয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়ে দেন তৃণমূলের তরফে আলাদা করে সাহায্য করা হবে। অন্য রাজ্য থেকেও আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা হয়েছে। সাহায্য শুরু করেছে রেলও।