২৭ বছর ধরে ১৫৭ টি টেলিভিশন ধারাবাহিকের জনপ্রিয় চেনা মুখ ছিলেন নূপুর। কিন্তু আচমকাই সরে যান গ্ল্যামারের ছটা থেকে। নূপুরের কাজের মধ্যে আছে ‘শক্তিমান’, ‘ঘর কী লক্ষ্মী বেটিয়াঁ’, ‘দিয়া অউর বাতি হম’-এর মতো চূড়ান্ত সফল টেলিভিশন শো। ছোট পর্দার পাশাপাশি কাজ করেছেন বড় পর্দাতেও। ‘রাজাজী’, ‘সাওয়ারিয়া’, ‘সোনালি কেবল’-এর মতো সিনেমা।
advertisement
নূপুরের জন্ম ১৯৭২ সালের ২৫ নভেম্বর, রাজস্থানের জয়পুরে। গোলাপি শহরেই স্কুলজীবন কাটে। পরে পরিবারের সঙ্গে তিনি চলে আসেন মুম্বইয়ে। আশৈশব তাঁর আগ্রহ ছিল সাংস্কৃতিক দিকে। স্কুল, কলেজে পড়াশোনায় ভাল ফলের পাশাপাশি অভিনয়, নাচের প্রতিও ছিল তাঁর আকর্ষণ।
আরও পড়ুন : চওড়া কপালে বিশাল অর্থপ্রাপ্তি, শিক্ষায় উন্নতি এক লাফে! সরস্বতী পুজোয় ভাগ্য সুপ্রসন্ন এই ৪ রাশির
গ্র্যাজুয়েশনের পর তিনি মডেলিং শুরু করেন। ধীরে ধীরে পরিচিতি বাড়ে বিজ্ঞাপনের মুখ হিসেবে। সেখান থেকেই শুরু অভিনয়ের কেরিয়ার। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই টেলিভিশনে কাজ করার সুযোগ পান। জনপ্রিয় কিছু শোয়ের মুখ হওয়ার সুবাদে সেলেব্রিটি হয়ে ওঠেন নূপুর।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সকলকে বিস্মিত করে নূপুর জানান তিনি অভিনয় ছেড়ে আধ্যাত্মিক যাত্রা শুরু করছেন। জাগতিক মোহ ছেড়ে তিনি শরণ নেন গুরু শম্ভু শরণ ঝা-এর। তিনি তাঁকে আধ্যাত্মিকতা বুঝতে, অনুভব করতে সাহায্য করেছেন বলে দাবি নূপুরের।
জীবনে অসুখী থাকার জল্পনা উড়িয়ে নূপুর জানান তিনি ব্যক্তিগত পরিসরে সুখী ছিলেন। কিন্তু আধ্যাত্মিকতার গভীরে যাওয়ার জন্য বিদায় জানান গ্ল্যামারের চাকচিক্যকে। ২০০২ সালে নূপুর বিয়ে করেন অলঙ্কার শ্রীবাস্তবকে। স্বামী ও শাশুড়ির অনুমতি নিয়ে আধ্যাত্মিকতার পথে পা রাখেন তিনি।
এক আলাপচারিতায় নূপুর জানিয়েছেন তিনি তাঁর স্বামীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু দু’জনের কেউই আইনি বিচ্ছেদ নেননি।