আরও পড়ুন: মৃত্যুশয্যায় ইউরোপ-সফরের প্ল্যান করত, ও ভাবেইনি যে… শেষ কয়েকটা দিনের কথা বললেন শ্রীলার স্বামী
‘ভেমুলার রামায়ণ’ নাটকটি লিখেছেন অংশুমান কর৷ মৃত্যুর মতো নির্মম সত্যে পৌঁছতে গিয়ে তাঁকে ছুঁতে হয়েছে মিথ ও ইতিহাসকে৷ ছুঁতে হয়েছে কার্ল সগন থেকে বিষ্ণুপুরাণ বা রামায়ণের উত্তরকাণ্ডকে৷ ছুঁতে হয়েছে আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্ররাজিকে, সাগরের পড়ন্ত বিকেলের ঢেউকে, উত্তাল ছাত্র আন্দোলনকে৷
advertisement
‘অশোকনগর নাট্যমুখ’-এর এই প্রযোজনা তৈরি হয়েছে স্বল্প সময়ে৷ কারণ, তাগিদ৷ এই সময়ের তাগিদ৷ সত্যিটা আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার তাড়া৷ এই নাটকের প্রয়োগ অভি চক্রবর্তীর৷ তিনি আগাগোড়া এক ‘মিছিলের মুখ’-এর হারিয়ে যাওয়ার সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন নাছোড়বান্দা লড়াইয়ের গনগনে আঁচে৷ প্রশ্ন করতে চেয়েছেন মধ্যবিত্ত, নিশ্চয়তা খোঁজা, পলায়ন্মুখ মনকে৷ নাটকের একটি অংশে দেখানো হয়েছে রামায়নের উত্তরকাণ্ড বা বিষ্ণুপুরাণে উল্লিখিত ‘শম্বুক’ চরিত্রের গাথা, অন্য অংশে রোহিত ভেমুলার মৃত্যুর পর তাঁর বন্ধু রিয়াজের মুখ দিয়ে রোহিতের জীবন-মৃত্যু নিয়ে তথ্য ও প্রশ্ন৷ অভি ইতিহাস ও মিথকে মঞ্চে মিলিয়ে ছুঁতে চেয়েছেন জাত-বঞ্চনার চিরন্তন সত্যকে৷