সূত্রের খবর, সারোগেসির মাধ্যমে মা-বাবা হয়েছেন তাঁরা। এই কথা চাউর হতেই তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এরই মাঝে জানা গেল, নয়নতারা এবং ভিগনেশ তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য বিভাগে একটি হলফনামা জমা দিয়েছেন। সেখান থেকে জানা গিয়েছে ছয় বছর আগেই তাঁদের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল খাতায় কলমে। দম্পতি হলফনামা দিয়ে তাঁদের বিয়ের নথিও জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও সেখানে নাকি উল্লেখ করা হয়েছে যে, তাঁদের সন্তানদের সারোগেট মাদার আসলে নয়নতারার আত্মীয়। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বাসিন্দা সেই মহিলা।
আরও পড়ুন: যমজ সন্তানের জন্ম দিয়ে বিপাকে নয়নতারা-ভিগনেশ, সারোগেসি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সরকার
গত সপ্তাহেই তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই প্রসঙ্গে বলেন, ''সারোগেসি এমনিতেই যথেষ্ট বিতর্কের বিষয়। তবে আইনত, যে কোনও ব্যক্তি পরিবারের অনুমতি নিয়ে সারোগেট মা হতে পারেন। যদিও তাঁর বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৩৬ বছরের মধ্যে।'' ডিরেক্টরেট অফ মেডিক্যাল সার্ভিসেসকে এই সব বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: নয়নতারা-ভিগনেশের মতো বহু তারকা সারোগেসির সাহায্যে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, রইল ছবি
ভারতে বাণিজ্যিক সারোগেসি নিষিদ্ধ। সারোগেট মায়ের মানদণ্ড অনুযায়ী, তাঁকে অন্তত একবার বিয়ে করতে হবে এবং তাঁর নিজের সন্তান থাকতে হবে। সর্বশেষ সারোগেসি রেগুলেশন বিল অনুসারে, চিকিৎসা ব্যয় এবং সারোগেটের বিমার খরচ ছাড়া মা-বাবা আর কোনও খবর বহন করবেন না। সারোগেসি অ্যাক্ট অনুসারে, যে দম্পতি সারোগেসি বেছে নিতে চান, তাঁঁদের অন্তত পাঁচ বছরের বিবাহিত হতে হবে। এবং সারোগেট মাদারকে দম্পতির নিকট আত্মীয় হতে হবে। এই নিয়মগুলির পরিপ্রেক্ষিতে নয়নতারা-ভিগনেশ সমস্ত নিয়ম এবং পদ্ধতি মেনে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
(নিউজ18 বাংলা এই খবরের সত্যতা যাচাই করেনি।)