ইন্ডিয়া টুডে-র একটি সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বিগত প্রায় কুড়ি বছরেরও বেশি সময় ধরে আলিয়া আর নার্গিসের যোগাযোগ নেই। বাকি সকলের মতো অভিনেত্রী নিজেও সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনার কথা জানতে পেরেছিলেন। আপাতত আলিয়া ফকরির প্রাক্তন প্রেমিক এডওয়ার্ড এবং তাঁর বন্ধু অ্যানাসস্টেসিয়া স্টার এটিন্নির মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। নিউ ইয়র্কের ক্যুইনসে একটি অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে এডওয়ার্ড এবং তাঁর বন্ধুর। ডেইলি নিউজের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, একটি দোতলা গ্যারেজে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন আলিয়া। এর ফলে আগুনের ধোঁয়া তাঁদের শরীরে প্রবেশ করে। এর পাশাপাশি শরীরের কিছু অংশও পুড়ে গিয়েছিল তাঁদের। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। বিচার প্রক্রিয়ায় আলিয়া ফকরির জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে। সেই সঙ্গে খুনের অভিযোগ তাঁর উপর আনা হয়েছে।
advertisement
নার্গিস এবং আলিয়ার মা এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে, “ও কাউকে খুন করতে পারে, এটা আমার মনে হয় না। ও এমন একটা মানুষ, যে সকলের প্রতি যত্নশীল। ও সকলকে সাহায্য করার চেষ্টা করে।” আপাতত নিউ ইয়র্ক সিটির সবথেকে বড় জেল রাইকার্স আইল্যান্ডে আটকে রাখা হয়েছে আলিয়াকে। যদিও তাঁর অপরাধ প্রমাণিত হলে আলিয়ার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
আরও পড়ুন : কোন ভিটামিন আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি করে? লম্বা হতে গেলে খেতেই হবে কোন খাবার? জানুন…নয়তো বাড়বে না হাইট
দ্য পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, এডওয়ার্ড জেকবের মা জানিয়েছেন যে, বছর খানেক আগেই আলিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হয়ে গিয়েছিল তাঁর পুত্রের। তবে অভিযোগ, ব্রেক-আপের পরেও অবশ্য এডওয়ার্ডের পিছু নিতেন আলিয়া। প্রতিবেদনে এ-ও স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে যে, এডওয়ার্ড এবং অ্যানাসস্টেসিয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। বরং তাঁরা সাধারণ বন্ধু ছিলেন।
ঘটনাস্থল থেকে অ্যানাসস্টেসিয়াকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেছিলেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। কিন্তু আগুন থেকে বাঁচতে তাঁকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়েছিল। ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন যে, অ্যানাসস্টেসিয়া ওই জ্বলন্ত বিল্ডিংয়ে প্রবেশ করেছিলেন এডওয়ার্ডকে বাঁচাতেই। এমনকী প্রত্যক্ষদর্শী এ-ও জানালেন যে, আলিয়া আর এডওয়ার্ডের সম্পর্কটা একেবারেই ভাল ছিল না। প্রচুর ঝামেলা হত তাঁদের।