মৌসুমীর দুই মেয়ে মেঘনা আর পায়েল ৷ এর মধ্যে পায়েল ছোট থেকেই অসুস্থ ৷ তখনই তাঁর ডায়াবেটিস ধরা পড়েছিল ৷ কিন্তু দিনের পর দিন ঠিক মতো সেবা না হওয়ায় এখন সে বিছানার সঙ্গে প্রায় মিশে গিয়েছেন পায়েল ৷ মৌসুমীর আশঙ্কা, যে কোনও দিন মৃত্যু হতে পারে তাঁর মেয়ের ৷
একসময় উত্তম কুমারের সঙ্গে অভিনয় করেছেন মৌসুমী ৷ বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের পুত্র জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর ৷ তাঁর মেয়েরই এমন শোচনীয় অবস্থার কথা মানতে পারছেন না শিল্পীমহল ৷
advertisement
২০১০ সালে ডিকি সিনহার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পায়েলের ৷ প্রথম থেকেই রুগ্ন ছিলেন পায়েল ৷ তবে এখন প্রায় অসাড় হয়ে গিয়েছে তাঁর শরীর ৷ গত বছর থেকেই বারবার তাঁকে ভর্তি হতে হয়েছে হাসপাতালে ৷ চিকিৎসক তাঁকে বলেছিলেন, ফিজিওথেরাপি করাতে ৷ সে সময় পায়েলের স্বামী তাঁর দেখাশোনার ভার নিলেও পরবর্তীকালে আর ঠিক মতো তাঁর চিকিৎসা করাননি বলে অভিযোগ ৷ ফলে দ্রুত অবস্থার অবনতি হয় তাঁর ৷
মৌসুমী ও তাঁর স্বামী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় আদালতের কাছে অভিযোগ করেছেন, মাইনে না দেওয়ায় নার্স এবং ফিজিওথেরাপিস্ট কাজ ছেড়ে চলে গিয়েছেন ৷ ফলে ৪-৫ মাস ধরেই পায়েলের অবস্থা রীতিমতো সঙ্কটজনক ৷ কিন্তু বারবার বলা সত্ত্বেও মেয়ের দেখভালের দায়িত্ব তাঁদের নিতে দেননি ডিকি ৷ মেয়ের সঙ্গে দেখা করতেও দেওয়া হয়নি তাঁদের ৷
২০ নভেম্বর জামাই ডিকির বিরুদ্ধে খার থানায় প্রথমে অভিযোগ জানান মৌসুমী ও জয়ন্ত ৷ এরপরেই বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা ৷
মৌসুমী জানাচ্ছেন, মেয়ে পায়েলের নূন্যতম সেবাটুকুও কেউ করে না ৷