মনামীর কথায়, "সব ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা আসে তো ইন্ডাস্ট্রিতে? সবাই মোটামুটি ১৫-১৬ বছর থেকে অভিনয়টা শুরু করে। ফলে তাঁদের তো সেই ম্য়াচিউরিটিটাও তো থাকে না, যে কীভাবে সামলাব? মানে এই ফেম, অউরা যদি না থাকে তবে কীভাবে সামলাব?"
তবে কি খুব কম বয়সেই এঁরা জয়প্রিয়তা পেয়ে যান আর তা হারিয়ে গেলেই আত্মহত্যা করেন? এর উত্তরে অভিনেত্রী কিছুটা ভেবেই উত্তর দেন। তিনি বলেন,"পপুলারিটি খুব তাড়াতাড়ি আসে সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য। এখন যারা সিরিয়ালের মূখ্য় চরিত্রে থাকে তাঁদের খুব সহজেই জনপ্রিয়তা এসে যায়। সেটা সোশ্য়াল মিডিয়া হোক বা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে শো হোক, খুব কম সময়েই অনেক মানুষের কাছে চলে আসেন তাঁরা। এই সবার কাছে পরিচিত হওয়াটা অভ্যেস হয়ে য়ায় এঁদের খুব তাড়াতাড়ি। এরপর আসে অ্য়াওয়ার্ড পাওয়া কিংবা অ্য়াওযার্ড শোতে পারফর্ম করা... একটাই হয়তো কাজ করেছে, কিন্তু এতগুলো এক্সপোজার পেয়ে যায় তাঁরা। এরপর যখন সবটা একসঙ্গে হারিযে যায় তখন তো খারাপ লাগবেই।"
advertisement
আরও পড়ুন: ঐশ্বর্য কেন মেয়ে আরাধ্যার স্কুলের কাছাকাছি কাজ করতে পছন্দ করেন?
পল্লবী দে, বিদিশা দে মজুমদার, মঞ্জুষা নিয়োগী পরপর তিন অভিনেত্রীর আত্মহত্য়ায় টলিপাড়া উত্তাল হয়ে গিয়েছিল। অভিনেত্রী কিন্তু এই আত্মহত্যার কারণ হিসেবে ইন্ডাস্ট্রির কাজকেই সম্পূর্ণ দায়ী করেননি। তিনি এ ও বলেন, "বিষয়টা সবার ক্ষেত্রে সমান না। যাঁরা আত্মহত্যা করেছে তাঁরা যে শুধু কাজের ব্যাপারে ডিপ্রেশনে গিয়ে আত্মহত্যা করেছে এমনটা নাও হতে পারে। তাঁর ব্য়ক্তিগত জীবনের কারণেও এমনটা হতে পারে।" তবে অভিনেত্রীর কথায় এই ঘটানা আগেও হত, সোশ্যাল মিডিয়া ছিল বলে হয়তো আমরা জানতে পারতাম না। কিন্তু এখন এতটুকু ঘটনা ঘটলে সবাই জেনে যায়। তাই এই সব ঘটনাগুলো সামনে আসে আমাদের। তবে মনামীর কথায় এখন অনেক বেশি ট্যালেন্টেড এবং স্মার্ট ছেলে-মেয়ে আসে ইন্ডাস্ট্রিতে। তাঁরা খুব ভালো কাজ করে।
আরও পড়ুন: পিতৃত্ব নিয়ে রোজ মক টেস্ট নিত আলিয়া: রণবীর
প্রসঙ্গত সম্প্রতি বেলাশুরুতে মনামীর অভিনয় নজর কেড়েছে দর্শকদের। এই ছবির গান টপা-টিনির প্রচার করেচেন মনামী সারা শহরজুড়ে। মনামী এখন নায়িকা থেকে হয়েছেন গায়িকাও। ভিটামিন-এম গানে রয়েছে তাঁরই জীবন গড়ার কাহিনি।