বহু বছর পর বাঙালি হিসেবে বিশ্বের দরবারে ভারতকে এই খাতি ও সম্মান পাইয়ে দিলেন সিনেমাটোগ্রাফার মধুরা পালিত ৷ লাল গালিচায় পোশাক দেখিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে আসা নয় ৷ নিজের কাজের দক্ষতায় প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন মধুরা ৷ অ্যাজেনিয়াক্স এনকারেজমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত হলেন মধুরা। ভারতের প্রথম মহিলা যিনি এই অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হলেন। চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অনন্য অবদানের জন্যই এই বিশেষ সম্মান পেয়েছেন মধুরা পালিত। ছবিটির বিষয়বস্তু হল কলকাতা শহরে একটি ফুটপাতে বেড়ে ওঠা একটি ছেলের গল্প। এই ফুটপাতই তার পৃথিবী। সকালে পেপার দেওয়া থেকে দুপুরে চায়ের দোকান হয়ে শোয়ার জায়গায় ফেরার মধ্যেও স্বপ্নের যে নিরন্তর ধারা তাকেই সাদা-কালোয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন মধুরা।
advertisement
কলকাতার বাসিন্দা মধুরা। পেশায় তিনি চিত্রগ্রাহক। ‘সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট’এ পড়াশুনা তাঁর। সেখানে পড়াকালীন তিনটি ফিচার ফিল্মের ক্যামেরার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি, অ্যাড ফিল্মে কাজ করেছেন মধুরা।
বাড়ির পরিবেশ থেকেই সিনেমাটোগ্রাফির উৎসাহ মধুরার। মা-বাবা দু’জনেই ছিলেন স্টিল ফোটোগ্রাফার। সমাজের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁকে খানিক লাইটটি নিলেও মা-বাবার সমর্থন চিরকাল ছিল তাঁর পাশে। এই পেশায় আসতে গিয়ে কম সমস্যার সম্মুখীন হননি মধুরা। অসংখ্য সহকর্মীরা তাঁকে মহিলা বলে বেশ দুর্বলপ্রকৃতির ভেবেছিল। সেই বিবেচনাই নিজের কাজের দক্ষতায় ভেঙে দিয়েছেন মধুরা।