নিঃসন্দেহে জেনি মেই আর অলিভিয়া কালপোর সঞ্চালনা নজর কেড়েছে দর্শকের, তবে সব চোখ শেষ পর্যন্ত গিয়ে যার দিকে স্থির হয়েছে, তাঁর নাম শেনিস পালাসিওস। নিকারাগুয়ার এই সুন্দরী এবার ৮৪টি দেশের কঠিন প্রতিযোগিতার মধ্যে থেকে জয় করে এনেছেন সৌন্দর্যের মুকুট আর সেরার তকমা, তিনিই এই বছরের মিস ইউনিভার্স।
আরও পড়ুন: ২য় বার মা হওয়ার আগেই অকপট স্বীকারোক্তি! রাজকে এ কী জানিয়ে দিলেন অন্তঃসত্ত্বা শুভশ্রী
তবে, শেনিস যে জিতবেনই, তা যেন এক রকমের পূর্ব নির্ধারিতই ছিল। পাওলো কোয়েলহো তো লিখেছেনই, কেউ যদি মন-প্রাণ দিয়ে কিছু চান, তাহলে পৃথিবী তা হাতের মুঠোয় এনে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে। শেনিসও চেয়েছিলেন, সন্দেহ নেই, মিস নিকারাগুয়া ২০২৩ খেতাব জয়ের পর থেকেই তাঁর লক্ষ্য ছিল মিস ইউনিভার্স রূপে পরিচিত হওয়া। সে দিক থেকে দেখলে এবার এই খেতাবজয় তাঁর যোগ্য স্বীকৃতি, সঙ্গে ছিল হিতার্থীদের শুভকামনা, শেনিসের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে চোখ রাখলে যা স্পষ্ট টের পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ‘আমি খুব নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম’! ভারত-নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনাল ম্যাচ দেখে কেন এমন বললেন রজনীকান্ত
মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার মঞ্চ এ বছর আলোকিত হয়েছে শেনিসের অনবদ্য সাজেও। এমবেলিশড বডি-হাগিং এক স্বচ্ছ গাউনে রাতপরির রূপকথার গল্পকে বাস্তবে রূপান্তরিত করেছেন সুন্দরী, কেশসজ্জা-প্রসাধনেও আলাদা করে নজর কেড়েছেন তিনি। সবচেয়ে বেশি চোখ টেনেছে তাঁর অতিপ্রত্যয়ী সারল্যময় হাসি, বাঁধভাঙা নদির মতোই তা বিচারকদের মন জয় করেছে।
তাঁর সঙ্গে সমানে সমানে লড়েছেন থাইল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার দুই সুন্দরী, কিন্তু মুকুট উঠেছে শেনিসেরই শিরে। সুন্দরীর এই বিশ্বজয় নিঃসন্দেহে ভারতেরও পাওনা, বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়া নিয়ে গেলেও সৌন্দর্যে তারা পরাভূত হয়েছে, এ সান্ত্বনা নয় তো আর কী!