প্রথম দু’টি গল্প দেখে যতটা মন ভরল, বাকি দু’টো দেখে সত্যিই মন ভরে না৷ যেগুলিতে মন ভরল, সেগুলিতে অভিনয় করেছেন নীনা গুপ্তা, আর কাজল৷ নীনা এক বৃদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যে চরিত্র ভেদা (মুনাল ঠাকুর) অর্জুন (অঙ্গদ বেদি)-কে বিবাহের বিষয়ে নানারকম পরামর্শ দেয়৷ এই নীনা গুপ্তা এই দু’জনের বিয়ের আগে বুঝিয়ে বলতে চেষ্টা করে, বিয়ের আগে যৌনতা করা উচিত না উচিত নয়৷ কিন্তু সেই বিষয়টিই এক অদ্ভুত উচ্চতায় পৌঁছয়৷
advertisement
আরও পড়ুন: হাতের পাঁচ ৩৩৭ নিয়েই কাজ শুরু কমিশনের! কোন কোন জেলায় বিশেষ নজর? রইল বিস্তারিত তালিকা
আরও পড়ুন: ঠিক কত পেলে পাশ করা যাবে টেট? নম্বর নিয়ে বিরোধ দুই বিচারপতির মধ্যেই, নজিরবিহীন ঘটনা
শেষ গল্পটি পরিচালনা করেছেন অমিত শর্মা৷ ছবিটির চরিত্রে অভিনয় করেছে কাজ, তাঁর চরিত্রের নাম দিব্যানী সিং৷ স্বামীকে নিয়ে ক্লান্ত দিব্যানী৷ তাঁর জীবনের বিশ্লেষণে এক অদ্ভুত পরিণতিতে পৌঁছে যায় গল্পটি৷ দিব্যানীর ছেলে যখন পড়াশোনার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে, তার পরেই এদের সামনে এসে পড়ে এক অদ্ভুত ঘটনা, যা চমকপ্রদ৷
দু’টি হতাশাজনক এপিসোড হল সুজয় ঘোষের ‘সেক্স উইথ এক্স’, যেটিতে অভিনয় করেছেন বিজয় বর্মা ও তামান্না ভাটিয়া৷ এই ছবিটি একেবারেই মন ভরাতে পারেনি৷ খুব সাধারণের তুলনাতেও এটি খারাপ৷ এ ছাড়াও একটি ছবি রয়েছে কঙ্কনা সেনশর্মার৷ তাঁর গল্পের নাম দ্যা মিরর৷ একটি পরিবারের এক বধূর গল্প, যে তাঁর বাড়ির পরিচারিকার সঙ্গে স্বামীকে যৌনতা করতে দেখে উত্তেজিত হয়৷ তবে এই গল্পটি একেবারেই বাস্তব সম্মত নয়৷
এই সিরিজটি সামগ্রিক ভাবে না হলেও আলাদা আলাদা কয়েকটি পারফর্মেন্সের জন্য মনে রাখার মতো৷ একদিকে যেমন বলতেই হয় নীনা গুপ্তার কথা৷ তিনি বৃদ্ধার চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন৷ তাঁর একটি সংলাপ আছে, ‘যেখানে যৌনতা নেই, সেখানে ভালবাসা নেই৷’