আরও পড়ুনঃ মেলালেন তিনি মেলালেন! রবি-স্মরণের মঞ্চে ফের গলা মেলালেন ইমন-শোভন
এখানে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্ত সঙ্গীতের মেলবন্ধন বললেও অত্যুক্তি করা হবেনা।প্রায় ১৩০ জন শিল্পীর সমন্বয়ে এই অকেস্ট্রা।মুখ্য অংশে রয়েছে- কিং অফ দি অল ইন্সট্রুমেন্ট- ‘ভায়োলিন’* এবং ভোকাল সিম্ফনি, ছন্দকারদের বিশ্ব বাদ্যযন্ত্র, যার অনুরণন সোশ্যাল মিডিয়া, লাইভ টেলিকাস্টের মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। আমাদের দেশে এই প্রথমবার একই মঞ্চে ভারতায় মার্গ সঙ্গীত ও বিশ্ব লোকসঙ্গীতের মেলবন্ধন হতে চলেছে।আমাদের ভারতীয় সঙ্গীত ও তার সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্ক অতি প্রাচীনকাল থেকেই।এই সঙ্গীতই ছিল ভাব প্রকাশের মাধ্যম।
advertisement
আদিম যুগে যখন ভাষা আবিষ্কার হয়নি তখন থেকেই গোষ্ঠীবদ্ধ মানব সমাজে এই সঙ্গীত মনের ভাবরচনা করত।বৈদিক যুগে বেদ মন্ত্র উচ্চারণে আর্চিক, গাথিক ও সামিগ স্বরে উদাত্ত ও অনুদাত্ত এবং স্বরিত স্বরের প্রয়োগে যে বেদ মন্ত্র সমস্বরে উচ্চারিত হত তাই পরবর্তীকালে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের রাগ রাগীনিতে রূপান্তরিত হয়েছে। পন্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ মঞ্চে উপস্থাপনা করতে চলেছেন চারটি সান্ধ্যকালীন রাগ।
অমিতাভ ঘোষ এর কথায়- অনুষ্ঠানটির নামকরণ করা হয়েছে ‘Folkus’। সমগ্র অনুষ্ঠানেই লোক সঙ্গীতের ছোঁয়া রয়েছে এবং এই আঙ্গিকের অনুষ্ঠান আগে কখনও হয়নি তাই এই অনুষ্ঠানটিকে সঙ্গীত জগতের বিপ্লব বলা যেতেই পারে। বিশ্বের নানা প্রান্তের লোকসঙ্গীত কীভাবে ভারতীয় পপুলার মিউজিককে প্রভাবিত করেছে মঞ্চে পরিবেশিত হবে অর্কেস্ট্রার মাধ্যমে। আমৃত্যু সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এই অনুষ্ঠানের পৃষ্টপোষকতা করেছেন। দেখতে আসতেন এই অনুষ্ঠান।