ছবির প্রসঙ্গে পাভেল বললেন, ‘‘আমার জন্মের প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত, আমার পুরো বড় হওয়া জুড়েই গাঁথা আছে 'কলকাতা চলন্তিকার' বীজ। আমি এক আদ্যন্ত শহুরে কাক। শহর কলকাতার সব অলিগলি রাস্তাঘাট আমার ঘরবাড়ি। যখন স্বাতী দি’র সঙ্গে আমার দেখা হল, স্বাতী দি’ মানে অধ্যাপিকা স্বাতী বিশ্বাস, আমি ওঁর মধ্যেও সেই একই ধরনের নস্ট্যালজিক রোম্যান্স, মানে কলকাতা নিয়ে সেই একই আবেগটা দেখতে পেলাম। কলকাতা চলন্তিকার চিত্রনাট্য ও সংলাপ আমার করা হলেও, এই গল্পটা লিখেছি স্বাতী দি’ এবং আমি, আমরা দুজন মিলেই।'
advertisement
আরও পড়ুন : এ মাসেই নাকি সাতপাকে বাঁধা পড়ছেন রণবীর-আলিয়া
পরিচালকের কাছে এই শহর একটি চরিত্র। এখানে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা পাভেলের মনে দাগ কাটে। তাঁর কথায়, ‘‘পরিচালক হিসেবে আমাকে বরাবরই সেই ঘটনাগুলোর টানে যেগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে আমাদের প্রভাবিত করে। দেশপ্রিয় পার্ক দুর্গাপুজো ব্যান, (অসুর ছবিটিতে এই ঘটনার প্রতিফলন রয়েছে) বা পোস্তা ফ্লাইওভার ভেঙে পড়া, এগুলোর ডকুমেন্টেশন করা আমি মনে করি পরিচালক হিসেবে আমার দায়িত্ব। আর এগুলি করতে গিয়ে আমার ভূমিকা কিন্তু কোনও তদন্তকারীর নয়।’’
আরও পড়ুন : আর্থিক জালিয়াতির শিকার রাজকুমার রাও, ট্যুইটারে ফেটে পড়লেন ক্ষোভে
আরও পড়ুন : চাপা পোশাকের সঙ্গে শিশিরভেজা মেকআপ, অনুষ্কার দিক থেকে চোখ না সরানো বিরাটের মন্তব্য ‘উফফফ! টু হট’
পরিচালক জানান, তিনি এদের কারণ খুঁজতে বসেননি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কীভাবে ছাপ রেখে গিয়েছে এই ঘটনাগুলো, সে সবই তাঁর লেন্স ধরতে চায়। চলচ্চিত্রর মধ্যে একটা কথা তিনি বলতে চান যে, যখনই কোনও ফ্লাইওভার বা ব্রিজ ভেঙে পড়ে সে তো একা ভাঙে না, সঙ্গে ভেঙে পড়ে অনেক স্বপ্ন আর প্রত্যাশা।
কিন্তু বাঙালিরা, যাঁরা কলকাতা নিয়ে বাঁচেন, তাঁদের মননে কারিগরি দক্ষতা অন্য পর্যায়ের। তাঁরা জানেন কী করে সব ভাঙা জুড়ে দিয়ে উঠে দাঁড়াতে হয়।
এই গল্পটা শহর কলকাতার তিন দিনের জীবন। প্রথম দিন ছবির মুখ্য চরিত্র নিজের ছন্দে ছুটে চলে বিভিন্ন অলিগলি পথে, দ্বিতীয় দিনে তাঁদের পথে ভেঙে পড়ে একটা ফ্লাইওভার। সব ওলট পালট হয়ে যায়। তৃতীয় দিনে তাঁদের আবার ধীরে ধীরে পুরনো ছন্দে ফিরতে শুরু করে। জানালেন পরিচালক ৷