ফকিরার প্রথম অ্যালবাম 'ইতরপনা'-তে যেমন প্রথমবার মানুষ বাংলা কাওয়ালী শুনেছিলেন, এই অ্যালবামেও তার অন্যথা হয়নি। সবকিছু মিলিয়ে প্রথম অ্যালবামের মতোই এই অ্যালবামও বাংলা গানের জগতে সাড়া ফেলতে চলেছে।
আরও পড়ুন: তিনিই ছিলেন প্রথম অসুর! আজ কোনও মতে দিন চলে 'অমল অসুর'-এর! নেই কাজ! মনেও নেই কারও!
advertisement
ফকিরা শুধু লোকগান করবে বলেই তৈরি হয়নি। ২০১১ সালে তিমির বিশ্বাস আয়োজিত আসানসোলের একটি অনুষ্ঠান থেকেই ফকিরার এই সিদ্ধান্ত। লোকগানের যুগোপযোগী অলংকরণ এবং তার সঠিক বিন্যাস ফকিরাকে সবার থেকে আলাদা করে। পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, ভারতবর্ষ ও তার বাইরেও ফকিরার গানের সঙ্গে সময় কাটানো মানুষের অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ, আমেরিকা এবং সারা ভারতে ফকিরা অনুষ্ঠান করে চলেছে স্বমহিমায়। তাদের প্রথম অ্যালবাম 'ইতরপনা'-র পর বিভিন্ন কারণে দ্বিতীয় অ্যালবাম প্রকাশ করতে কিছু বছর সময় লাগে ফকিরার। তার মধ্যেও তারা তাদের সিঙ্গেল রিলিজ করেছে। রতন কাহারকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ওঁর গান 'বড়লোকের বিটি লো'-র পরিবেশনা তার মধ্যে অন্যতম। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় অ্যালবাম, মিউজিক ভিডিও এবং ওয়েবসাইট একসঙ্গে প্রকাশ করতে চলেছে ফকিরা।
২০১৯ সালে ফকিরার দ্বিতীয় অ্যালবাম 'হরে কৃষ্ণ' রেকর্ড হয়ে গেলেও কোভিডের কারণে রিলিজ করা সম্ভব হয়নি। এই বছর পুজোর আগে প্রকাশ পাবে সেই অ্যালবাম। অ্যালবামটি রেকর্ড হয়েছে মুম্বাইয়ের YashRaj Films Studio-তে। মিক্স মাস্টারের কাজও মুম্বইতেই হয়েছে। নতুন শ্রবণ প্রযুক্তি Dolby Atmos ব্যবহার করা হয়েছে এই অ্যালবামে।
আরও পড়ুন: একগাল দাড়ি, চশমা, তীক্ষ্ণ সংলাপে এক অন্য অঙ্কুশকে পেতে চলেছে টলিউড
এই অ্যালবামের মিউজিক ভিডিওটি সম্পূর্ণ আটটি গান নিয়ে তৈরি। তিমিরের কথায়, ''দ্বিতীয় অ্যালবামের কাজ করতে করতেই আমাদের মাথায় আসে একসঙ্গে যদি আটটি গানকে একটা ভিডিওতে রাখা যায়। অ্যালবামটা প্রকাশ পেলেই এর স্বাদ পাবেন। ভারতের অন্যতম সেরা স্টুডিওতে রেকর্ড করেছি। তার কারণ অবশ্যই শ্রোতাদের ভালো শব্দ (audio quality) শোনাতে চাই। পাশপাশি নিজেদেরও যাচাই করে নেওয়া আর কি। আমাদের পরম সৌভাগ্য যে আমাদের গান রেকর্ড করেছেন দেশের অন্যতম সেরা সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার, বিজয় দয়াল। তাঁর কাছ থেকে অনেক শিখতে পেরেছি আমরা। আশা করি আপনাদেরও আনন্দ দিতে পারব।''