মৃগী রোগে খিঁচুনি: মৃগীরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হঠাৎ খিঁচুনি হয়। খিঁচুনি হল মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক ক্রিয়াকলাপের আকস্মিক বৃদ্ধি। যা একজন ব্যক্তির উপস্থিতি বা আচরণে প্রভাব ফেলে। চিকিৎসকরা বলছেন, মৃগীরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নানা ধরণের খিঁচুনি হয়। কখনও মাথা ঝিমঝিম করে, কখনও পেশি শক্ত হয়ে যায়। কখনও কখনও খিঁচুনি এতটাই বেড়ে যায় যে, জ্ঞান থাকে না। ডাকলেও সাড়া দিতে পারে না রোগী।
advertisement
মৃগী রোগের প্রধান কারণ: সম্ভবত সংক্রমণই বিশ্বব্যাপী মৃগী রোগের প্রধান কারণ। তাই মস্তিষ্কে সংক্রমণের কারণে খিঁচুনি হতে পারে। জেনেটিক কারণেও মৃগী রোগ হতে পারে।
কখনও পূর্বপুরুষের জিন থেকে আসে, কখনও বা জেনেটিক পরিবর্তনের কারণে হয় এই রোগ।
জন্মের সময় অক্সিজেনের কম মাত্রার কারণেও ঘটতে পারে।
চিকিৎসকরা বলেন, জন্মগত ত্রুটি মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে। এটা মৃগীরোগের একটি সাধারণ কারণ। কিছু জন্মগত ত্রুটি যা মৃগীরোগের উপসর্গ হতে পারে, সেগুলি হল ফোকাল কর্টিকাল ডিসপ্লাসিয়া, পলিমাইক্রোজিরিয়া এবং টিউবারাস স্ক্লেরোসিস।
মাথায় আঘাতের পরে মস্তিষ্কে দাগ, স্ট্রোকের পরে মস্তিষ্কের ক্ষতি এবং টিউমারও মৃগীরোগের কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: সাবধান! শরীরে আয়রনের ঘাটতি হতে পারে, এই লক্ষণগুলি দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
আরও পড়ুন: আজ থেকেই ডায়েটে যোগ করুন বিট, শীতকালে সব সমস্যার মুশকিল আসান এই সবজি
মৃগী রোগের প্রাথমিক লক্ষণ: খিঁচুনির ধরনের উপর নির্ভর করে একজন ব্যক্তির উপসর্গ বদলে যেতে পারে। তবে বারবার খিঁচুনি মৃগী রোগের প্রাথমিক লক্ষণ।
খিঁচুনি হওয়ার লক্ষণ: হঠাৎ জ্ঞান হারানো, পেশির অনিয়ন্ত্রিত গতিবিধি, যোগাযোগ। কিছু মানসিক উপসর্গও থাকে যেমন ভয় এবং উদ্বেগ, শ্বাসকষ্ট, হঠাৎ হাতের ঝাঁকুনি এবং হাত থেকে জিনিস পড়ে যাওয়া, শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা।
(এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)