২ মে সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন। আর মৃত্যুদিন ২৩ এপ্রিল। এই সময়সীমাকে ধরেই ২২ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত ক্লিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দেখানো হচ্ছে বিশ্ববরেণ্য পরিচালকের একগুচ্ছ ছবি। নাম দেওয়া হয়েছে ‘মানিকবাবুর পাঁচালি’। স্ট্রিম হচ্ছে ‘Raytrospective’।
আরও পড়ুন– ‘সৌরভ যেন না আসে’, বিয়ের নিমন্ত্রণ পত্রে লিখে দিল বর, পড়ে ভিরমি খেলেন অতিথিরা !
advertisement
উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরির পৌত্র সত্যজিৎ। সুকুমার রায়ের পুত্র। জন্মসূত্রেই পেয়েছিলেন অন্তর্দৃষ্টি। গল্প কীভাবে বলতে হয়, তাঁর চেয়ে ভাল আর কে জানবে! সাহিত্য তাঁর রক্তে। স্বাভাবিক ভাবেই ছোটদের জন্য লিখেছেন অজস্র গল্প, উপন্যাস। প্রায় সবই কালজয়ী। তাঁর হাতেই তৈরি হয়েছে ফেলুদার মতো অমর চরিত্র। শুধু লেখেননি ছবিও এঁকেছেন। স্কেচ করেছেন নিজের হাতে।
রায় পরিবারের ছেলে সত্যজিৎ নিজের পথ তৈরি করেছেন নিজেই। পারিবারিক সাহিত্যচর্চার উত্তরাধিকার মাথায় নিয়েই পা দিয়েছেন রুপোলি পর্দায়। সেখানেও তিনি কিংবদন্তি। ১৯৫৫ সালে প্রথম ছবি ‘পথের পাঁচালি’। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি এই ছবি সেই সময় সাড়া জাগাতে না পারলেও পরবর্তীকালে ‘কাল্ট’ ছবির মর্যাদা পেয়েছে।
আরও পড়ুন– পর্যটকদের জন্য ‘ভারত গৌরব’ বিশেষ ট্রেন, ‘রামলালা’ দর্শনের সঙ্গে হবে উত্তর ভারত ভ্রমণও
শুধু ‘পথের পাঁচালি নয়’, ‘চারুলতা’, ‘দেবী’, ‘আগন্তুক’, ‘গণশত্রু’, ‘মহানগর’, ‘জলসাঘর’, ‘জনঅরণ্য’-এ সমাজ জীবনের আখ্যান বুনে গিয়েছেন তিনি। ছোটদের জন্য তৈরি করেছেন ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘হীরক রাজার দেশে’, যা সমান ভাবে ভাবিয়েছে বড়দেরও। ‘মহাপুরুষ’, ‘পরশপাথর;-এর মতো ছবি আজও বাঙালি হৃদয়ে সমান সমাদৃত।
সত্যজিতের এই সব ছবির সম্ভার এইচডি-তে বাঙালি দর্শকের সামনে হাজির হয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। ক্লিক ওটিটির কর্ণধার অভয় তাঁতিয়া বলছেন, “ভারতীয় চলচ্চিত্রে সত্যজিৎ রায় এমনই এক ব্যক্তিত্ব যাঁকে নিয়েই চর্চা করা হোক না কেন কম মনে হয়। ক্লিক ওটিটি-র লক্ষ্য তাঁর ক্লাসিক সিনেমাগুলিকে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় নতুনভাবে তুলে ধরা। যাতে দর্শকদের কাছে উপভোগ্য হয়”। তবে শুধু সিনেমা নয়, ক্লিকের Raytrospective-এ সত্যজিতের তৈরি বেশ কিছু তথ্যচিত্রও দেখতে পাবেন দর্শকরা।